রাজ্যের সবথেকে জনপ্রিয় প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্পে রাজ্য সরকার মহিলাদের মাসিক হাজার টাকা করে দিয়ে থাকে। পিছিয়ে পড়া তফশিলি দিয়ে থাকে ১২০০ টাকা।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে কড়াকড়ি
সম্প্রতি তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের টাকা নয়ছয় হয়েছিল। যার জেরে রাজ্য সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ সমস্ত জনকল্যাণমূলক প্রকল্প নিয়ে কড়াকড়ি শুরু করেছে।
তালিকা থেকে বাদ
যার কারণে অনেকের নামই তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে। ডিসেম্বর থেকেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধেভোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
নাম বাদ
নবান্ন সূত্রের খবর খতিয়ে দেখা হচ্ছে সমস্ত তথ্য। তার ভিত্তিতেও কিছু কিছু নাম বাদ দেওয়া হতে পারে।
প্রথম কারণ
রাজ্য সরকার ২৫ থেকে ৬০ বছরের মহিলাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা দিয়ে থাকে। কিন্তু যাদের ২৫ বছর হয়নি, অথচ জাল সার্টিফিকেট দিয়ে টাকা নিচ্ছে তাদের নাম বাদ যেতে পারে।
দ্বিতীয় কারণ
ভুয়ো সার্টিফিকেট দিয়ে যারা টাকা নিচ্ছে তাদের নামও বাদ যেতে পারে। সেক্ষেত্রে তফশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলাদের নাম বাদ পড়তে পারে।
তৃতীয় কারণ
এবার থেকে রিভার্জ ব্যাঙ্কের নির্দেশিকা মেনে টাকা দেওয়া হবে সরকারি প্রকল্পের। তেমনই নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন। আর সেক্ষেত্রে যাদের নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট না থাকায় জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাদের নাম কাটা পড়তে পারে।
চতুর্থ কারণ
নবান্ন সূত্রের খবর কেউ কেউ দুই থেকে তিনটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা তুলছেন। তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে।
পঞ্চম কারণ
সরকারি চাকরি বা অন্য প্রকল্প থেকে সুবিধে পাওয়া মহিলাদের নাম বাদ পড়তে পারে।
ষষ্ঠ কারণ
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কেওয়াইসি পুরাণ যারা করেননি তাদের টাকা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে নবান্ন সূত্রের খবর।