সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাঁর পরেই আবার লোকসভা। এই মুহূর্তে বাংলায় জনসংযোগ বাড়ানোই বিজেপির একমাত্র লক্ষ্য।
গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে প্রধানমন্ত্রীর 'মন কী বাত' অনুষ্ঠান পৌঁছে দিতে উদ্যোগী বিজেপি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বাংলায় জনসংযোগ বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই কী এই নতুন উদ্যোগ? প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে এখন থেকে প্রত্যেক রবিবার রাজ্যজুড়ে বিশেষ কর্মসূচি পালন করবে পদ্ম শিবির। প্রত্যন্ত গ্রামে এমনকী প্রান্তিক এলাকাতেও যাতে এই অনুষ্ঠান পৌঁছে দেওয়া যায় সে উদ্দেশ্যে স্মার্ট ফোন, রেডিও নিয়ে এবার জেলায় জেলায় যাবেন গেরুয়া দলের নেতারা। 'মন কী বাত'-এর ৯৮ তম পর্ব থেকেই এই গ্রাম বাংলায় এই বিশেষ ব্যবস্থা শুরু করল বঙ্গ বিজপি।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাঁর পরেই আবার লোকসভা। এই মুহূর্তে বাংলায় জনসংযোগ বাড়ানোই বিজেপির একমাত্র লক্ষ্য। এই উদ্দেশ্যে এখন থেকে প্রতি রবিবার প্রধানমন্ত্রীর 'মন কী বাত' অনুষ্ঠান ঘিরে রাজ্যজুড়ে বিশেষ কর্মসূচি পালন করবে বিজেপি। ১০০ তম পর্ব বড় করে উদযাপন করার কথাও বলা হয়েছে। ভোটের আগে বাংলার গ্রামে গ্রামে পৌঁছনোই মূল লক্ষ্য।
প্রসঙ্গত, এদিন দেশের শিল্প, সংস্কৃতির পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে এল প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে দেশের সার্বিক উন্নয়নের কথাও। ৯৭টি পর্ব পেরিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর এই 'মন কী বাত' অনুষ্ঠান। ৯৮ তম অংশগ্রহণ করতে পেরে আনন্দিত মোদী। দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বললেন,'আমার প্রিয় দেশবাসী। 'মন কি বাত'-এর এই ৯৮তম পর্বে আপনাদের সকলের সঙ্গে যোগ দিতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এই যাত্রায়, আপনারা সবাই 'মন কী বাত'-কে জনগণের অংশগ্রহণের অভিব্যক্তির জন্য একটি চমৎকার প্ল্যাটফর্ম বানিয়েছেন।' এদিন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে এল ভারতের সংস্কৃতির কথা। 'ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খান যুব পুরস্কার'-এর কথাও উল্লেখ করলেন তিনি। পাশাপাশি একতা দিবসে আয়োজিত প্রতিযোগিতার কথাও বলেছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে মোদী বললেন,'আপনাদের নিশ্চই মনে আছে সর্দার প্যাটেলের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা 'মন কী বাত'-এ তিনটি প্রতিযোগিতার কথা বলেছিলাম। দেশপ্রেমের এই প্রতিযোগিতা,'গীত','লুলাবি'এবং 'রঙ্গোলি'-এর সঙ্গে যুক্ত ছিল।'
এদিন প্রধানমন্ত্রীর কথায় ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের লোক সংস্কৃতির কথাও উঠে এল। প্রধানমন্ত্রী বাংলা, বিহারের বিলুপ্তপ্রায় লোকসংস্কৃতির কথা বলতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার ত্রিবেণী কুম্ভ মহোৎসবের প্রসঙ্গ টেনে নতুন করে কুম্ভ মেলার সূচনা করার কথাও বললেন। তাঁর কথায়,'আমাদের দেশের একাধিক মহান ঐতিহ্য ও পরম্পরা আজ বিলপ্তির পথে। কিন্তু মানুষের নতুন অংশগ্রহণ ও আগ্রহের মাধ্যমেই এগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা চলছে। এই নিয়ে আলোচনা করার ক্ষেত্রে 'মন কী বাত'এর চেয়ে আর ভালো জায়গা কী হতে পারে?'
আরও পড়ুন -
ভারতের বাজারে উৎসহ , জার্মান সিইওদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক প্রধানমন্ত্রী মোদীর
হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের ১ মাস, আদানিদের ১২ লক্ষ কোটি টাকা উধাও