আরজি কর হাসপাতালকাণ্ডে একমাত্র ধৃত সঞ্জয় রায়ের জীবন সংশয়! তেমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর আশঙ্কা সঞ্জয় রায়ের মৃত্যু হতে পারে। তিনি বলেন, 'সঞ্জয় রায় কারামন্ত্রীর হেফাজতে রয়েছেন। বড় চিন্তার কারণ আছে। সঞ্জয়ের বেঁচে থাকা এখন জরুরি। কারণ ও-ই একমাত্র এভিডেন্স। কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই এই মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা। সম্প্রতি কারামন্ত্রী বলেছেন, 'সঞ্জয় যেন ধনঞ্জয় না হয়ে যায়। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।' আরজি করে চিকিৎসক তরুণী খুন ও ধর্ষণ-কাণ্ডে সঞ্জয়কে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ কোর্ট।
বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় আরজি কর হত্যাকাণ্ডকে চক্রান্ত হিসেবেই দেখছেন। তিনি বলেন, 'আরজি কর - কাণ্ডে গ্যাং অব সন্দীপ ঘোষের হদিশ পেলাম। স্বাধীনতা দিবসের প্যারডে কারা স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষে যোগ দিয়েছিল দেখতে পেলাম। মেমো নং সহ চিঠি পাবলিশ হয়েছিল। অথচ স্বাস্থ্য দাফতরের ওয়েবসাইট এ এখন এটি নেই। যেটা এখন পাওয়া যাচ্ছে তাতে ৩৪ জনের তালিকা আছে। কারা কুচক্রী? চিকিৎসকদের আদেশনামাতে ডিএমই, ডিএইচএস-এর সই থাকে। কী করে এই চিঠি বেরলো যেখানে তাদের সই নেই? স্বাধীনতা দিবসের ডিটেলমেন্টে দুটি টিম থাকে। ৮ তারিখের আদেশনামাতে তাই ছিল। কিন্তু ৬ তারিখের আদেশানেমাতে ৩৪ জনের তালিকা! কেন? ৬ তারিখের আদেশনামাতে নর্থ বেঙ্গল, মালদা, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদ থেকেও ডাক্তার আনতে হয়েছিল। এমন কি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকেও ওই দিন ডাক্তার আনতে হয়েছিল। কেন?' স্বাস্থ্য দফতরের জারি করা একটি অর্ডারের মধ্য়েই লুকিয়ে রয়েছে আরজি কর কাণ্ডের আসল রহস্য। দাবি করছে সার্ভিস ডক্টর্স ফোরাম। সেই কথার সূত্র ধরেই এদিন বিজেপি এই দাবি করেছে বলেও মনে করছে একাংশ।
সার্ভিস ডক্টর্স ফোরামের মত বিজেপি নেতাদেরও প্রশ্ন কেন আরজি করে রিপোর্ট করতে বলা হল? ৯ আগস্ট সাড়ে ৫টাতেই রিপোর্ট করতে বলা হল কেন? এই প্রশ্নের পাশাপাশি তাঁর প্রশ্ন সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের এমএসভিপিদের বলা হয়নি কেন? হোম ডিপার্টমেন্টকে কেন জানান হয়নি- সেই প্রশ্নও তুলেছেন। তাঁর প্রশ্ন, সবকিছুই কি সন্দীপ ঘোষকে বাঁচানোর জন্য করা হয়েছিল। তিনি স্বাস্থ্য দফতরকেও নিশানা করেছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।