ত্রিপুরা গেলেন শুভেন্দু অধিকারা। যাওয়ার আগে তৃণমূলকে নিশানা করেন তিনি। তিনি বলেন দলত্যাগীরা বিধানসভার ভিতরে বিজেপি।
ভোট প্রচারে ত্রিপুরা গেলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধুকারী। তবে যাওয়ার আগে তিনি জানিয়ে দেন, তৃণমূল কংগ্রেসকে বিজেপির ধর্তব্যের মধ্যেই রাখছে না। আর সেই কারণে দলীয় কোনও সভায় তৃণমূল কংগ্রেসের নামও উচ্চাকরণ করা হবে না। শুভেন্দু আরও বলেন তৃণমূলের লড়াই নোটার সঙ্গে। অন্যদিকে এদিনই ত্রিপুরায় আগরতলার রাজপথে রোডশো করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অভিষেকও।
ত্রিপুরা যাওয়ার আগে শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন এবার ত্রিপুরা বিধানসভায় তৃণমূলের লড়াই নোটার বিরুদ্ধে। নোটার থেকেই কম ভোট পাবে তৃণমূল। তিনি আরও বলেন, বিজেপি তৃণমূলকে কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না। আর সেই কারণেই বিজের কোনও নির্বাচনী সভায় তৃণমূলের নামও উচ্চারণ করা হবে না। অমিত শাহ সোমবার ত্রিপুরায় একাধিক নির্বাচনী জনসভা করেন। কিন্তু কোথাও তিনি তৃণমূলকে আক্রমণ করেননি। যা নিয়ে বাম ও কংগ্রেস বিজেপির সমালোচনা শুরু করেছে। এদিন শুভেন্দু তারই উত্তর দিলেন।
বিজেপি দলত্যাগী সম্পর্কেও এদিন নিজের মতামত জানিয়েছেন শুভেন্দু তিনি বলেন, বিধানসভার ভিতরে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭৫। যা আগে ছিল। তিনি আরও বলেন, দলত্যাগীরা বাইরে তৃণমূল বিধানসভায় বিজেপি। ত্রিপুরা যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
প্রসঙ্গত ক্রমাগত ভাঙ্গন ধরছে বিজেপির সংগঠনে। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক ইতিমধ্যেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও গুরুত্ব দিতে নারাজ বিরোধী দলনেতা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "বিধানসভার ভেতরে ওরা বল বিজেপি আর বাইরে তৃণমূল। আবার সাংবাদিকদের বলে সৌজন্য দেখাতে গিয়েছিলাম। দলে যোগ দিতে যাইনি। আমার কাছে ৭৫ জনই বিজেপির"।
অন্যদিকে মমতাও রয়েছেন ত্রিপুরায়। এদিন তিনি আগরতলায় একটি রোডশো করেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে দলীয় নেতাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ভাইপো অভিশষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম সারিতে ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে ২৪টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। অভিষেক ও মমতা দুজনেরই গলায় ছিল হলুদ রঙের উত্তরীয়। যা এই রাজ্যের আদিবাসীদের প্রতীক বলেও তৃণমূল সূত্রের খবর।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট প্রচারের জন্য গতকালই ত্রিপুরা পৌঁছেছিলেন। তিনি বলেছিলেন তিনি তাঁর দ্বিতীয় বাড়ি ত্রিপুরাতে এসেছেন। তিন আরও বলেছিলেন রাজ্যে যখন বিজেপি সন্ত্রাস চালাচ্ছিল তখন কেউ নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়ায়নি। শুধুমাত্র দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। সেই সময় থেকেই তিনি ত্রিপুরার নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। যাইহোক সবমিলিয়ে মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই নির্বাচনী সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলের ধারনা, রাজ্যে ভোটবাক্সে তেমন কোনও সুবিধে করতে পারবে না তৃণমূল। তবে বাম ও কংগ্রেসের ভোট কেটে বিজেপির সুবিধে করে দিতে পারে। পাল্টা বিজেপির অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যে বাম-কংগ্রেস নয় বিজেপির- ভোট বাক্সে ভাগ বসাতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ
পাকিস্তানের নতুন হাতিয়ার 'মাদক সন্ত্রাস', জম্মু ও কাশ্মীরকে সতর্ক করলেন সেনা কর্তা