প্রয়াত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সিপিএম নেতা তথা বামফ্রন্টের শেষ সেনাপতি। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। শয্যাশায়ী ছিলেন পামঅ্যাভেনিউর ছোট্ট ফ্ল্যাটে। আজ সকালে তাঁর মৃত্য হয়। আমৃত্যু বামপন্থায় বিশ্বাসী ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সিপিএম-এর নেতা ও নেত্রীরা।
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যঃ
স্বাধীনতার পরবর্তী যে কজন রাজনীতিবিদকে দেশের মানুষ মনে রাখবেন তাদের মধ্যে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য অন্যতম। মার্ক্সবাদী দর্শনে দীক্ষিত। জীবনেও সেই দর্শনের প্রতিফলন ছিল। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি রাজ্যকে যেখানে নিয়ে যেতে চেয়েছিল তা ছিল অন্যতম। কিন্তু বিভিন্ন চক্রান্তে তিনি ব্যর্থ হয়েছে। সেই সময় রাজ্যে শিল্পের জোয়ার এসেছিলেন। সেই সময় যদি সিঙ্গুর আর নয়াচরে কারখানা হলে ভারতে সেরা হত পশ্চিমবঙ্গে।
লেকগার্ডেন্সে রেলট্র্যাকের ওপর বহু মানুষ বসবাস করতেন। রেল তাদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তুলে দিতে নির্দেশ দেয়। সেই সময় রেলের ওপর বসবাসকারীদের নিয়ে আন্দোলন করছিলেন সৌগত রায়। হাইকোর্টের অর্ডারের বিরুদ্ধে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বিকাশরঞ্জনের কথামত দ্রুত নোনাডাঙায় ১০ একর জমিতে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেন। সেই সময় বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য প্রাক্তন মেয়র ছিলেন।
কলকাতা পুরসভার মেয়র ছিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। সেই সময়ে পুরসভার কাজে রাজ্যের কোনও মন্ত্রী হস্তক্ষেপ করেছিলেন। বিকাশরঞ্জনের কথা শুনেই দ্রুত ব্যবস্থা নেন। বিকাশরঞ্জন বলেন, কাজে স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ওপর সম্পূর্ণ আস্থা ছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের।
প্রতীকুর রহমানঃ
সিপিএম-এর অপুরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। একটি বড় গাছ হারিয়েছি আমরা। অভিভাবকহীন হয়ে পড়ল। ছাত্র আন্দোলনের কর্মী হিসেবেই তাঁর সঙ্গে আলাপ। রাজ্যের ছেলেমেয়েদের যাতে বাইরে কাজের সন্ধানে যেতে না হয় তার জন্যই রাজ্যে শিল্পিয়ানের চেষ্টা করেছিলেন। বুদ্ধবাবুর স্বপ্নই বাস্তবায়ন করার কাজকেই এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
দীস্পিতা ধরঃ
রাজ্যের মানুষ যাতে পরিযায়ী না হয় তার জন্যই প্রথম থেকেই চেষ্টা করেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বুদ্ধদেব সাধারণ মানুষের সঙ্গে তিনি যেভাবে মানুষের সঙ্গে মিশতেন , যেভাবে জীবন কাটাতেন তা থেকেই শিক্ষা নেওয়া জরুরি।
শ্রীলেখা মিত্রঃ
যারা সেই সময় পরিবর্তন চেয়েছিলেন তারা আজ কী বলবেন সেটাই দেখার। যারা পরিবর্তন চেয়েছিলেন যারা সেই সময়ে তাদের সমালোচনা করেছিলেন তারা কী বলবেন। তিনি আরও বলেন, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কাজকে সেই সময় মেনে না নেওয়াটাই ভুল।