নিজের ফোন থেকে QR কোড স্ক্যান করে বিল পেমেন্ট করেছিলেন ব্যবসায়ী। টাকা মিটিয়ে দেওয়ার পর মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে তাঁর মেচেদা শাখার স্টেট ব্যাঙ্ক ও কোলাঘাট শাখার ইউকো ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকা বেমালুম ‘ভ্যানিশ’ হয়ে যায়।
ব্যবহার করতে হচ্ছে না ব্যক্তির ফোন। ঢুকছে না কোনও ওটিপি বা মেসেজ। সমস্ত সতর্কবার্তা ছাড়াই গায়েব হয়ে যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা! কলকাতায় এসে মারাত্মক বিপদের মধ্যে পড়ে গেলেন ব্যবসায়ী। পর পর দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে মুহূর্তের মধ্যে গায়েব হয়ে গেল বিপুল অঙ্কের টাকা। দশ মিনিটের মধ্যে হু হু করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট শূন্য হয়ে যাওয়ার পরেই মাথায় হাত প্রতারিত ব্যবসায়ীর। আদতে তিনি মেদিনীপুরের কোলাঘাট থানা এলাকার মেচেদার বাসিন্দা, নাম শশাঙ্ক সামন্ত।
-
শশাঙ্ক সামন্তের অভিযোগ, বেশ কয়েকটি শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য কলকাতার একটি হাসপাতালে এসেছিলেন তিনি। সেখানে নিজের ফোন থেকে QR কোড স্ক্যান করে বিল পেমেন্ট করেছিলেন। টাকা মিটিয়ে দেওয়ার পর মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে তাঁর মেচেদা শাখার স্টেট ব্যাঙ্ক ও কোলাঘাট শাখার ইউকো ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকা বেমালুম ‘ভ্যানিশ’ হয়ে যায়। টাকা খোয়া যাওয়ার আগে তাঁর ফোনে কোনও ওটিপি বা মেসেজও আসেনি বলে জানিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। টাকা চলে যাওয়ার পর ব্যাঙ্ক থেকে তাঁর নম্বরে কয়েকটি মেসেজ আসে। মুম্বই ও রাজস্থানের কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই বিষয়টি জানিয়ে ইতিমধ্যেই তিনি সাইবার ক্রাইম শাখায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতারিত ব্যক্তি। দুই ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
-
সাংবাদিকদের কাছে শশাঙ্ক সামন্ত জানিয়েছেন যে, চলতি মাসের ৪ তারিখ এই ঘটনাটি ঘটেছে। তাঁর ফোনে আচমকা একের পর এক টাকা তুলে নেওয়ার মেসেজ আসতে থাকে। প্রথমে তিনি ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে ১ লক্ষ ৬০০ টাকা তুলে নেওয়া হয়ে। তাড়াতাড়ি তিনি ওই দুটি অ্যাকাউন্টে থাকা বাদবাকি টাকাগুলি অন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে দিয়েছিলেন। এরপর ওই ব্যাঙ্কের শাখাগুলিতে গিয়ে সমস্ত বিষয়টি জানান। প্রতারিতের দাবি, অন্য রাজ্য থেকে তাঁর অ্যাকাউন্টের টাকা গায়েব করা হয়েছে। ব্যবসায়ী দুঃখ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, সরকারের তরফ থেকে সাধারণ মানুষকে অনলাইন পেমেন্ট করার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে, অথচ এমন ধরনের প্রতারণার ঘটনা চলতে থাকতে মানুষের কোনও সুবিধা তো হবেই না, বরং সমস্যা আরও বাড়বে। তিনি সাধারণ মানুষকে পরামর্শ দিয়েছেন, গুগল পে বা ফোন পে-র মতো ডিজিটাল লেনদেনের অ্যাপ ব্যবহার করা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য। সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।