'তাহলে পুজো বন্ধ করে দিন!' জমায়েত নিয়ে কলকাতা পুলিশের বিজ্ঞপ্তির মামলায় প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের

কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে,২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কলকাতা পুলিশের থানা এলাকায় পাঁচ জনের বেশি মানুষ একই সঙ্গে চলা ফেরা করতে পারবে না, দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না।

 

দুর্গা পুজোর বাকি মাত্র আর ১১ দিন। কিন্তু তার আগেই কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় পাঁচ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না বলে কলকাতা পুলিশ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। যা নিয়ে গতকালই রাজ্যের জুনিয়র ডাক্তার আর সিপিএম কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। সেই মামলার শুনানিতেই এদিন কলকাতা হাইকোর্টের মন্তব্য পুলিশ যদি অনুমতি না দেয় তাহলে পুজো বন্ধ করে দিতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার।

কলকাতা পুলিশের বিজ্ঞপ্তিঃ

Latest Videos

বুধবার কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে,২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কলকাতা পুলিশের থানা এলাকায় পাঁচ জনের বেশি মানুষ একই সঙ্গে চলা ফেরা করতে পারবে না, দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে জমায়েত করা যাবে না। বৌবাজার থানা, হেয়ার স্ট্রিট থানা এবং ধর্মতলা এলাকায় কে সি দাস ক্রসিং থেকে ভিক্টোরিয়া হাউসের দিকের এলাকায় ৫-৬ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে শান্তি রাখতে হবে। লাঠি বা বিপজ্জনক অস্ত্র নিয়ে যাতায়াত করা যাবে না। মানুষের গতিবিধি ও যানচলাচল বিঘ্নিত হোক এমন কিছু করা যাবে না। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে ওই সব এলাকায় কোনো জনসভাও করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে পুলিশ। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা মেনে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে পুলিশ তরফে। পুজোর আবহে এই নির্দেশিকা নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায়।

আদালতের দ্বারস্থঃ

কলকাতা পুলিশের এই বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তার ও সিপিএম কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। এদিন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে উঠেছিল মামলাটি।

সাওয়াল জবাবঃ

কলকাতা হইকোর্টে সওয়ালে রাজ্যের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা নতুন কিছু নয়। ২০২৩ সাল থেকেই এই নিয়ম লাগু। ৬ মাস ছাড়া ছাড়া এটি নতুন করে অনুমোদন দেওয়া হয়েছ। রাজ্যের আইনজীবী বলেন, রাজ্যে আইনজীবী বলেন নির্দিষ্ট সময়কালে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা শুধু কে সি দাস থেকে ভিক্টোরিয়া হাউস এলাকা পর্যন্ত বলবৎ আছে। পাল্টা আবেদনকারীদের আইনজীবী বলেন, ' তাহলে এই নির্দিষ্ট এলাকায় যে পুজোগুলি হয়, সেগুলির কী হবে? তাহলে তো সেইসব পুজোর অনুমতি তো বাতিল করতে হবে?'পাল্টা রাজ্যের আইনজীবী বলেন এই নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র ৫-৬০ মিটার এলাকার জন্যই বহাল।

বিচারপতির মন্তব্যঃ

এদিন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ মামলাকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'পুলিশ যদি অনুমোদন না দেয় তাহলে পুজো বন্ধ করে দিন!' পুলিশের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করা যায় কিনা তাও জানতে চান। পরবর্তী শুনানিতে পুলিশকে এই বিষয়ে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি সোমবার।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

 

Read more Articles on
Share this article
click me!

Latest Videos

Suvendu Adhikari Live: এগরায় জনসভা শুভেন্দুর, কী বার্তা, দেখুন সরাসরি
Dev Adhikari : এবার কী আসছে খাদান ২? খাদান সাফল্য পেতেই বড়সড় ঘোষণা দেব-যীশুদের
Narendra Modi : 'কুয়েত যেন মিনি হিন্দুস্তান', কুয়েত সফরে এসে কেন বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী?
‘Bangladesh-কে মারতে হবে না চোখ দেখালেই যথেষ্ঠ’ বাংলাদেশকে ধুয়ে দিলেন Dilip Ghosh | Bangladesh News
অনলাইনে পুজোর দেওয়ার নামে প্রতারণা! ঘাড় ধরে নিয়ে গেল পুলিশ | Hooghly News Today