বিচারপতি বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ রায়ে জানায়, সুপার নিউমারারি পদ বেআইনিভাবে গড়া হয়েছে। কী এই পদ? কোন সময়ে দুর্নীতি?
দীর্ঘ তিন মাস শুনানির পরে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ঐতিহাসিক রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মোট ২৫৭৫৩ চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ রায়ে জানায়, সুপার নিউমারারি পদ বেআইনিভাবে গড়া হয়েছে। কী এই পদ? কোন সময়ে দুর্নীতি?
রাজ্য সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও তদন্ত করবে সিবিআই এমনই জানিয়েছে হাইকোর্ট। যারা অতিরিক্ত পদ তৈরির অনুমোদন দিয়েছিলেন এবং সেই সংক্রান্তি প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধেও তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় দল। প্রয়োজনে যে কাউকে হেফাজতে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই।
বিস্ময় প্রকাশ করে আদালতের মন্তব্য, ”এসএসসিতে বেআইনি চাকরি রক্ষা করতে রাজ্য সরকারের মন্ত্রিসভাও বিভিন্ন সময় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই নিয়োগগুলি সম্পূর্ণ বেআইনি, প্যানেলের বাইরে এবং প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে করা হয়েছে জেনেও দুর্নীতি করে পাওয়া চাকরি বাঁচাতে চেয়েছেন সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা।”
২০২২ সালের ৫ মে মাসের একটি চিঠিতে সুপার নিউমারারি পদ তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, সেই সময় শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন ব্রাত্য বসু । ২০২১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সরকার দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরেই ব্রাত্য বসুকে শিক্ষামন্ত্রী করা হয়। এই সময়ে নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, গ্ৰুপ-সি, গ্ৰুপ-ডি সব মিলিয়ে প্রায় ৭০০০ নিউমারারি পদ তৈরির জন্য মন্ত্রীসভাকে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল।