রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস আরও বলেছেন, আমি রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে দুটি স্তর দেখতে পাই। ব্যক্তি হিসেবে আমাদের সম্পর্ক অত্যান্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ, যা পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ার ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তিনি একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ভাগ করে নেন। তেমনই জানিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি আরও বলেন, রাজ্যে কাজ করার সময়ে তাঁকে কোনও অসুবিধের সম্মুখীন হতে হয়নি। সিভি আনন্দ বোস, রাজ্যপাল হিসেবে এক বছর পূর্ণ করেছেন। তিনি বলেছেন, তিনি রাজ্যে কাজের ক্ষেত্রে রাজ্যের মানুষের মঙ্গলকেই প্রাধান্য দেবেন।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস আরও বলেছেন, 'আমি রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে দুটি স্তর দেখতে পাই। ব্যক্তি হিসেবে আমাদের সম্পর্ক অত্যান্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ, যা পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ার ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। যতদূর রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে উপলব্দি ভিন্ন হতে পারে কারণ নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী ও মনোনীত রাজ্যপালকে প্রতিটি ইস্যুতে একই রকম ভাবতে হবে এমন নয়।' তিনি আরও বলেছেন, রাজ্যপাল হিসেবে তাঁর ভূমিকা সংবিধানকে আরও উন্নত করে। তিনি আরও বলেছেন, জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করেন। তিনি বলেন, 'সাংবিধানিক যোগ্যতার মাপকাঠি প্রয়োগ করি, তখন শুধু এই সরকারই নয়, সরকারের কর্মকাণ্ডও কাঙ্খিত হতে পারে। সেখানে গর্ভনরকে পদার্পণ করতে হবে। এটি আপাত দ্বন্দ্বের দিকে নিয়ে যেতে পারে। তবে গণতন্ত্রের মধ্যে থেকেই এজাতীয় দ্বন্দ্বের সমাধান করতে হবে।'
তিনি আরও বলেছেন, এই রাজ্য রাজ্যপাল গিসেবে কাজ করতে এসে তাঁকে কোনও অসুবিধের সম্মুখীন হতে হয়নি। তিনি জানিয়েছেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তিনি কাজ করেছেন। আর সঠিক আর নৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, দেশের সংবিধান মেনেই গণতন্ত্র রক্ষার জন্য তিনি কাজ করছেন। দেশের আইনের ওপর ভিত্তি করেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি।
যদিও রাজ্যের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ রাজ্যপাল রাজভবন থেকে সমান্তরাল প্রশাসন চালাচ্ছেন। রাজ্যের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছেন বোস। এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সিভি আনন্দ বোস বলেছেন, গণতন্ত্রে এধরনের দ্বিধা আর দ্বন্দ্ব থাকা স্বাভাবিক। গণতন্ত্রে আলোচনা আর সমালোচনা থাকবে। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকার রাজ্যের আইনসৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। সেই কারণেই তিনি রাজভবনে দুর্নীতি বিরোধী সেল খুলেছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা তিনি নেবেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'আমার অগ্রাধিকার বাংলার জনগণ। আমি তাদের জন্য যা করতে পারি তা করব। আমি রাজ্য সরকারের সঙ্গে গঠনমূলক কাজের প্রস্তাব দেব। ফেডারেলিজমের নীতিগুলিকে সম্মুন্নত রাখব। '