কুড়মি আন্দোলনের জেরে ব্যাহত ট্রেন পরিষেবা। শুক্রবার এখনও পর্যন্ত বাতিল ৫৮টি ট্রেন।
কুড়মি আন্দোলনের জের। আবারও রাজ্যে ব্যাহত হল ট্রেন পরিষেবা। ৫ এপ্রিল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে নিজেদের অবস্থান অনড় রয়েছে কুড়মি সম্প্রদায়ের বিস্নারা। লাগাতার তিন দিন ধরেই চলছে তাদের রেল ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি। পুরুলিয়া-সহ রাজ্যের একাধিক জয়গায় চলছে আন্দোলন। তাতেই বাতিল করা হয়েছে, হাওড়া-মুম্বই দুরন্ত এক্সপ্রেস, লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেস-সহ একাধিক দূরপাল্লার ট্রেল। কিছু ট্রেন অবশ্যই ঘুর পথে চালান হচ্ছে। তবে লোকাল ট্রেন বাতিল করার ফলে সমস্যায় পড়েছেন নিত্য যাত্রীরা।
শুক্রবার তিন দিনে পড়ল কুড়মি সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ আন্দোলন। ৫০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা অন্দোলনে নিজেদের দাবিতে অনড় কুড়মি সম্প্রদায়। তাঁদের দাবি , কুড়মি জাতিকে তফশিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত করতে হবে। কুড়মে ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি সরকারের সিআরআই অর্থাৎ কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রিপোর্টও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর দাবি জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা। ১ এপ্রিল থেকে জঙ্গলমহল এলাকায় শুরু হয়েছিল ঘাঘরা ঘেরা কর্মসূচি। ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বঁকুড়া, পুরু-সহ বিহার ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার জঙ্গলমহল এলাকার বাসিব্দারা এই কর্মসূচিতে সামিল হয়েছে। তবে বুধবার থেকে কুড়়মি সম্প্রদায়ের মানুষ রেল অবরোধ করেছেন।
অবরোধের জেরে শুক্রবারও একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে প্রায় ৫০টি ট্রেন বাতিল হয়েছে। বেশ কিছু দূরপাল্লাটর ট্রেন ঘুরপথে নিয়ে আসা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বাতিল করা হয়েছিল ৮৫টি ট্রেন। আদিবাসী কুড়মি সম্প্রদায়ের মুখ্য উপদেষ্টা আদিতপ্রসাদ মাহাতো জানিয়েছেন, আপাতত আন্দোলন থেকে তারা সরছেন না। আন্দোলন চলবে, নিজেদের দাবিতে তাঁরা অনড় রয়েছে বলেও জানিয়েছে। আগামী দিনে আন্দোলন আরও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এখানেই শেষ রবিবার অর্থাৎ ৯ এপ্রিল থেকে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছে কুড়মি সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা। জানিয়েছেন, রবিবার পুরুলিয়ার কোটশিলা জংশন ও সংলগ্ন রাঁচি পুরুলিয়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করা হবে। এই আন্দোলনকে আরও সক্রিয় করতে কুড়মি সম্প্রদায়ের আরও অনেক মানুষ যোগ দেবে বলেও আশা করা হয়েছে।
রেল সূত্রের খবর এদিন আদ্রা পুরুলিয়া শাখার ৫৮টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। চারটি ট্রেনের গতিপথ পরিবর্তন করা হয়েছে। ভাস্ক-ডাগামা- জেসিটি এক্সপ্রেস, আলাপুঝা - ধানবাদ এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। টানা তিন দিন রেল অবরোধের জেরে সমস্যায় পড়েছেন অনেক পর্যটক। তারা মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে নিজেদের বাড়িতে ফিরতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন।