অভিনব উপায়ে টাকা লুঠ করা হত বেসরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজগুলিতে, ইডির নজরে অবাক করা কাণ্ড!

নিয়ম অনুযায়ী অফলাইনে রেজিস্ট্রেশনের অনুমোদন দেওয়ার ক্ষমতা ছিল কেবলমাত্র পর্ষদ সভাপতির হাতেই । এই ক্ষমতাকেই হয়তো দুর্নীতির ক্ষেত্রে হাতিয়ার করতেন মানিক ভট্টাচার্য।

পশ্চিমবঙ্গে প্রাইভেট ডিএলএড অর্থাৎ শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজগুলিতে অনলাইনে ভর্তির সুবিধা থাকলেও অফলাইনে এত সংখ্যক ছাত্র ভর্তি হচ্ছিলেন কেন? এই প্রশ্নই সন্দেহ জাগাচ্ছে ইডির আধিকারিকদের মনে। রহস্যের কিনারা পেতে এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইট ও সার্ভার খতিয়ে দেখছে ইডি। বেসরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার সুবিধা চালু ছিল। এই প্রক্রিয়াতেই কারচুপি করা হচ্ছিল বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

অনলাইনে ভর্তির রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চলাকালীন সার্ভারে কারসাজি করা হচ্ছিল বলে মনে করছেন ইডি আধিকারিকরা। কারচুপি করার জন্য সার্ভার জ্যাম করে দেওয়া হচ্ছিল বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। অফিসাররা মনে করছেন, অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া যখন শুরু হত, তখন একটা নির্দিষ্ট আসন সংখ্যা দিয়ে দেওয়া হত সার্ভারে। কিন্তু, ওই সংখ্যা পূরণ হওয়ার আগেই জ্যাম করে দেওয়া হত সার্ভার। ফলে, অল্প কিছু আবেদনকারীদের ভর্তির পর বাকিদের রেজিস্ট্রেশন অসফল হয়ে থাকত।

Latest Videos

অর্থাৎ, অনলাইনে ভর্তির জন্য যদি ১০০ জনের সংখ্যা নির্ধারণ করে দেওয়া থাকত, তাহলে অল্প কিছু সংখ্যক, যেমন ৪০ বা ৪৫ (অথবা তার কম বা বেশি) জনের ভর্তি সফল হিসেবে দেখানো হত। বাকি যত সংখ্যক আবেদনকারী ভর্তি হতে পারলেন না, তাঁরা অফলাইন রেজিস্ট্রেশনের জন্য সরাসরি কলেজের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন।

ইডি আধিকারিকরা মনে করছেন, সরাসরি কলেজের সঙ্গে যোগাযোগ করলেই শুরু হত দুর্নীতি। নিয়ম অনুযায়ী অফলাইনে রেজিস্ট্রেশনের অনুমোদন দেওয়ার ক্ষমতা ছিল কেবলমাত্র পর্ষদ সভাপতির হাতেই । এই ক্ষমতাকেই হয়তো দুর্নীতির ক্ষেত্রে হাতিয়ার করতেন মানিক ভট্টাচার্য। সার্ভার জ্যাম করার কৌশল বড়সড় দুর্নীতির একটা অঙ্গ বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

ইডি সূত্র মারফৎ জানা গেছে, সার্ভারে কারসাজি করে অল্প সংখ্যক আবেদনকারীকে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন দেখিয়ে বলা হত আসন পূর্ণ হয়নি। নির্দিষ্ট দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরে অফলাইন রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করার পিছনেও বড় ছক কষা ছিল। ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে প্রতি কলেজ থেকে ছাত্র পিছু মোটা টাকা হাতিয়ে নেওয়া হত। প্রতি ছাত্র পিছু মানিকের জন্য বরাদ্দ ছিল কমপক্ষে ৫০০০ টাকা করে, কখনও এর চেয়ে বেশি টাকাও নেওয়া হত বলে ইডির অনুমান। এই টাকার ভাগ কলেজগুলোর কাছেও যেত বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তদন্তের গতি অনুযায়ী আগামী দিনে কলেজগুলোকে এবিষয়ে নোটিস ইস্যু করার সম্ভাবনা রয়েছে।

আরও পড়ুন-
হোয়াটসঅ্যাপের কল আটকানোর জন্য চালু হচ্ছে বিশেষ ব্যবস্থা, আর কী কী বিশেষ ফিচার নিয়ে আসছে এই অ্যাপ?
রাজারহাটের বিলাসবহুল পার্টিতে তরুণীকে মাদক খাইয়ে গণধর্ষণ, আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন তরুণী
পার্থ-ঘনিষ্ঠ প্রসন্নর কাছে রাখা ছিল দিলীপ ঘোষের দলিল, চাঞ্চল্যকর ঘটনায় এবার মুখ খুললেন বিজেপি সাংসদ

Share this article
click me!

Latest Videos

জঙ্গি গ্রেফতারে কড়া বার্তা মিঠুনের | Mithun Chakraborty #shorts #mithunchakraborty #shortsvideo
চমকে উঠবেন! কৃষ্ণনগর পক্সো আদালতের বড় সাজা ঘোষণা | Nadia Latest News
'যেসব মুসলমানরা হিন্দুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন তাঁদেরই পূর্বপুরুষেরা হিন্দু ছিল' বিস্ফোরক অর্জুন
অসমে অ্যাকশন শুরু! খপাখপ শয়তান জঙ্গিগুলোকে ধরল পুলিশ | Murshidabad Latest News | Bangla News
West Bengal-এ জঙ্গিযোগ নিয়ে Mamata Banerjee-কে চরম তুলোধোনা Agnimitra Paul-এর! দেখুন কী বললেন