নিয়োগ দুর্নীতির কোটি কোটি কালো টাকা সাদা করতে 'মৃতা স্ত্রী'কেও ছাড়েননি পার্থ, পর্দা ফাঁস করল জামাই
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পঞ্চম অতিরিক্ত চর্জশিট পেশ করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। নতুন এই চার্জশিটেই জানান হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় কালো টাকা সাদা করার টেকনিক।
Saborni Mitra | Published : Dec 20, 2024 10:38 AM IST
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পঞ্চম চার্জশিট
প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল রাশি রাশি টাকা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখনও পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় সেই টাকার হিসেব দিতে পারেননি। কিন্তু টাকা উদ্ধারের পর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কী করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ওই বিপুল পরিমাণ কালো টাকা সাদ করতেন বা করা হত? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পঞ্চম চার্জশিটে সেই তথ্যই দাখিল করল ইডি।
পঞ্চম চার্জশিট পেশ
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পঞ্চম অতিরিক্ত চর্জশিট পেশ করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। নতুন এই চার্জশিটেই জানান হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় কোন কোন পদ্ধতিতে কালো টাকা সাদা করতেন।
জামাইয়ের বয়ান
ইডি পঞ্চম চার্জশিটে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্যের বয়ানও তুলে ধরেছে। সেখান থেকেই স্পষ্ট পার্থ চট্টোপাধ্যায় কী করে কালো টাকা সাদা করতেন।
জামাই অভিযুক্ত
কেন্দ্রীয় সংস্থার এই চার্জশিটে পার্থর জামাই কল্যাণময়ই মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত। যদিও বর্তমানে তিনি রয়েছে বিদেশে।
কালো টাকা সাদা করার উপায়
ইডি চার্জশিটে দাবি করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোকজনকে নদর টাকা দিতেন। সেই টাকাই আবার ফিরে আসত তাঁর স্ত্রীর নামে তৈরি
ট্রাস্টের। স্ত্রীর নামে তৈরি ট্রাস্টের মাধ্যমেই কালো টাকা সাদা করতেন পার্থ।
দুর্নীতির আঁতুর ঘ়র
সূত্রের খবর চার্জশিটে ই়ডি দাবি করেছে বাবলি চ্যাটার্জি মেমোরিয়াল ট্রাস্টই ছিল দুর্নীতির আঁতুড়ঘর। জামাই কল্যাণময় এই তথ্য দিয়েছে বলেও দাবি কেন্দ্রীয় সংস্থার।
ডোনেশন রহস্য
ইডি আরও দাবি করেছে পার্থর জামাই জেরায় জানিয়েছেন,ট্রাস্টের মাধ্যেই কালো টাকা সাদা হয়ে ফিরে আসত পার্থর ঘরে।
ট্রাস্টে যুক্ত জামাই
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ট্রাস্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জামাই কল্যাণময়। তিনি ছিলেন অন্যতম ট্রাস্টি।
কোটি টাকার ডোনেশন
জেরায় পার্থর জামাই জানিয়েছেন ট্রাস্টের জন্য একবার ১ কোটি ১৭ লক্ষ ৭৫ হাজার ৯১০ টাকা ডোনেশন উঠছিল। কিন্তু যারা চেকে টাকা দিয়েছিল তারা আগে থেকেই পার্থর থেকে সমপরিমাণ বা তারও বেশি ক্যাশ টাকা পেয়েছিলেন। সেই টাকায় কেনা হয়েছিল ১৫ কাঠা জমি।
জামাইয়ের সম্পত্তি
কল্যাণময় আরও জানিয়েছেন, পার্থের কথাতেই ২০১৭ সালে বোটানিক্স অ্যাগ্রোটেক্স প্রাইভেট লিমিটেড নামের সংস্থা খুলেছিলেন তিনি। মাছ এবং ধানের ব্যবসা করত ওই সংস্থা। তার নামে একাধিক সম্পত্তি কেনা হয়েছিল। সেই টাকা দিয়েছিলেন পার্থ। এছাড়াও পার্থ জামাইকে কোটি কোটি টাকা দিয়েছেন। কখনও ব্যবসার জন্য। কখনও আবার স্কুল খোলার জন্য।