এর পাশাপাশি, উপকূলের জেলাগুলিতে প্রবল বেগে (ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে) বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। যার ফলে, মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, পর্যটকদেরও সতর্ক করা হয়েছে।
গভীরতর নিম্নচাপের পাশাপাশি জোরালো প্রভাব ফেলছে ভরা কোটাল। এর কারণে, সমুদ্র ও নদী, দুটোতেই জলস্তর বাড়ছে। ফলে, সমস্ত জেলায় নদী বা সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলায় প্রচণ্ড ভারী বৃষ্টির আশঙ্কায় লাল সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
উত্তর ২৪ পরগণা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কায় জারি রয়েছে কমলা সতর্কতা।
এর পাশাপাশি, বীরভূম, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ জেলাতেও ভারী বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে, বুধবারের পর বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
বৃষ্টির প্রভাবে কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী সমস্ত জেলাতে বুধবার সকালে নেমে গিয়েছে তাপমাত্রার পারদ। বুধবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রয়েছে প্রায় ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি।
উত্তরবঙ্গেও বুধবার থেকে বৃষ্টি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও কালিম্পং জেলায় বুধবার বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি (৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার) হতে পারে। অন্যান্য জেলাগুলিতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা।
দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায় বৃহস্পতিবারও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। উত্তরের বৃষ্টি শনিবার পর্যন্ত একটানা চলার সম্ভাবনা রয়েছে।