মোট ক'টি মামলা রয়েছে আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে সে বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিতে হবে কলকাতা পুলিশকে। আগামী সোমবারের মধ্যে কলকাতা পুলিশকে এই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
মোট ক'টি মামলা রয়েছে আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে সে বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিতে হবে কলকাতা পুলিশকে। আগামী সোমবারের মধ্যে কলকাতা পুলিশকে এই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
কিছুদিন আগেই পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ আনেন আরাবুল ইসলামের স্ত্রী জাহানারা বিবি। লোকসভা ভোটের আগে স্বামীর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে একের পর এক মামলা সাজিয়ে ফাঁসানো হচ্ছে বলে জানান জাহানারা। গ্রেফতারের পরেও নাকি নতুন নতুন মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাই তিনি আরাবুলের বিরুদ্ধে ঠিক ক'টি মামলা রয়েছে তা পুলিশের কাছ থেকে জানতে চান।
গত ৮ এপ্রিল বিচারপতি সেনগুপ্ত এ বিষয়ে রাজ্যের কাছে তলব করেন। বিচারপতি সেনগুপ্তের নির্দেশ দেন, আরাবুলের বিরুদ্ধে কতগুলি মামলা দায়ের হয়েছে এবং কতগুলিতে চার্জশিট পেশ হয়েছে, নির্দিষ্ট ভাবে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে রাজ্যকে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে পুলিশ একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুলকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন আরাবুলের স্ত্রী হাইকোর্টে অভিযোগ করেন যে, তাঁর স্বামীকে একটি মামলায় গ্রেফতারের পরেও কিছু দিন আগে আরও দু’টি মামলায় যুক্ত করেছে পুলিশ। ভাঙড়ের তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে খুনের পাশাপাশি সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দলবদ্ধ ভাবে আক্রমণের অভিযোগও রয়েছে।
এর আগে বারুইপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জামিন চান আরাবুল। আরাবুল অসুস্থ। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি বাড়িতে চিকিৎসাধীন। তাঁকে জামিন দেওয়া হোক বলে আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। যদিও তদন্তের প্রয়োজনে আরাবুলকে তাদের নিজেদের হেফাজতে নিতে হবে বলে জানায় পুলিশ। পঞ্চায়েত ভোটের সময় এবং পরে নিরাপত্তা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও আবেদন করেছিলেন আরাবুল। পরে আরাবুল এবং তাঁর ছেলে তথা তৃণমূল নেতা হাকিমুল মোল্লার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়।