এবার থেকে এই নিয়ম না মানলে বন্ধ হয়ে যাবে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা! বিজ্ঞপ্তি দেখেছেন কি?

লক্ষ্মীর ভান্ডারের গ্রাহকদের জন্য বেশ চমকে দেওয়ার মতই খবর। এবার মিলেছে নয়া আপডেট। এটা সত্যি যে বাংলায় লক্ষ্মীর ভান্ডার বেশ জনপ্রিয় একটি প্রকল্প। তবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হল যে এবার থেকে এই নিয়মগুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে! জানেন তো নিয়মগুলো?

Parna Sengupta | Published : Aug 17, 2024 3:21 AM IST
110

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মহিলাদের হাত খরচের জন্য চালু করেছিলেন লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। তবে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে পশ্চিমবঙ্গে এখনো অনেক পরিবার রয়েছে যাদের কাছে সরকারের তরফ থেকে দেওয়া এই ১০০০ অথবা ১২০০ টাকা সংসার চালানোর ক্ষেত্রেও অনেকটাই সাহায্য করে থাকে। যে কারণেই প্রতিমাসের শুরু থেকেই তারা তাকিয়ে থাকেন টাকার জন্য।

210

লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। এই প্রকল্পের আওতায় প্রথম দিকে সাধারণ শ্রেণীর মহিলাদের প্রতি মাসে ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মহিলাদের প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হতো। বর্তমানে টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি করে করা হয়েছে যথাক্রমে ১০০০ টাকা ও ১২০০ টাকা। 

310

রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল কংগ্রেস সরকার একাধিক জনমুখী প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় প্রকল্প হল লক্ষীর ভান্ডার।

410

মাস কয়েক আগে পর্যন্ত প্রকল্পের টাকা উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকতে অনেকটাই সময় নিচ্ছিল। তবে পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সেই টাকা এখন মাসের শুরুর দিকেই অ্যাকাউন্টে ঢোকা শুরু হয়েছে। যদি মাসের শুরু অর্থাৎ ১ তারিখ ছুটির দিন না হয় তাহলে ওই দিনই সরকারের তরফ থেকে টাকা প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়।

510

রাজ্য সরকারের তরফে নতুন নিয়ম সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এবার থেকে সরকারি এই প্রকল্পের আবেদনকারীদের ব্যাঙ্কের সিঙ্গল অ্যাকাউন্ট অবশ্যই থাকতে হবে। এই নয়া নির্দেশের কথা জানানো হয়েছে নবান্নের তরফে।

610

জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট নিয়ে একাধিক সমস্যা তৈরি হয়েছে, তার জন্যই এই নির্দেশ বলে নবান্ন সূত্রে খবর। জানা যাচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছিল, জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থাকলে মূল আবেদনকারী টাকা নেওয়া আগে পরিবারের অন্য কেউ সেই টাকা তুলে নিচ্ছে।

710

আধার সংযুক্তিকরণের ওপরেও বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। খাদ্যসাথী বা স্বাস্থ্যসাথী সহ বিভিন্ন প্রকল্প গুলিতে আধার সংযুক্তিকরণ আরও বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছে নবান্ন।

810

নবান্নের তরফে জানানো হয়েছিল, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হতে গেলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, আধার কার্ড এবং অন্য জাতিভুক্ত হলে সেই জাতির শংসাপত্র থাকা বাধ্যতামূলক। তবে এখন আর সেই বাধ্যবাধকতা নেই বলেই জানা গিয়েছে।

910

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলেও আবেদন করতে পারবেন লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য বলে জানিয়েছে নবান্ন। ২৫ থেকে শুরু করে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত সমস্ত মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন।

1010

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবারই বলেছিলেন, এই প্রকল্পে বাড়ির মেয়েদের একেবারে নিজেদের রোজগার। এই টাকার জন্য কারও কাছে হাত পাতার দরকার নেই। মহিলাদের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েই এই প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন তিনি। আর এবার সেই মহিলাদের কথা মাথায় রেখেই বদল করা হচ্ছে প্রকল্পের নিয়মে।

Read more Photos on
Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos