লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে পিছনে ফেলে দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রকল্প! জানেন কীভাবে আবেদন করবেন?

এই প্রকল্প শুধু যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে তাই নয়, তা বিশ্বের দরবারে সম্মানিত হয়েছে এবং পুরষ্কৃতও হয়েছে। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মেয়েদের স্বনির্ভর করে তুলতে 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' প্রকল্পও চালু করেছেন। এই দুই প্রকল্পই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পকেও ছাপিয়ে যেতে চলেছে কন্যাশ্রী প্রকল্পের জনপ্রিয়তা। কেননা এই প্রকল্পের জন্য সারা রাজ্যজুড়ে ৩ কোটিরও বেশি আবেদন ইতিমধ্যেই মঞ্জুর হয়ে গিয়েছে যেখানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রাপক সংখ্যা ২ কোটির সামান্য বেশি হিসাবেই দেখা যাচ্ছে।

সবুজসাথী প্রকল্প চালু করার পাশাপাশি চালু হয়েছে কন্যাশ্রী প্রকল্পও। সেই প্রকল্প শুধু যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে তাই নয়, তা বিশ্বের দরবারে সম্মানিত হয়েছে এবং পুরষ্কৃতও হয়েছে। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বাংলার মেয়েদের আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর করে তুলতে 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' প্রকল্পও চালু করেছেন। বর্তমানে রাজ্যে এই দুই প্রকল্পই সামাজিক ভাবে ভীষণই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

Latest Videos

বর্তমানে বার্ষিক ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার আয়ের মধ্যে থাকা পরিবারের মেয়েরাই(School Girls) কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য আবেদন জানাতে পারে। অষ্টম শ্রেনী থেকেই সেই আবেদন করা যায়। সেই আবেদন পড়ে K-1 হিসাবে। এটি কন্যাশ্রী প্রকল্পের একদম প্রথম ধাপ। অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেনীর মেয়েরা এই ক্ষেত্রে আবেদন জমা দিতে পারে। খালি তাঁদের বয়স ১৩ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে থাকতে হবে এবং অবিবাহিত হতে হবে। এই আবেদন গৃহীত হলে প্রতি বছর ১০০০ টাকা করে পাওয়া যায়।

এরপরেই চলে আসে কন্যাশ্রীর দ্বিতীয় ধাপ K-2। ১৮ বছর বয়স হলে এবং তারপরও অবিবাহিত থাকলে এবং স্কুলে বা কলেজে পড়াশোনা চালিয়ে গেলে এই আবেদন করা যায়। সেক্ষেত্রে এককালীন ২৫ হাজার টাকা পায় ওই পড়ুয়া। আবার যারা K-2'র সুবিধা পেয়ে গিয়েছে এবং স্নাতকে নূন্যতম ৪৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পড়াশোনা করছে সেই সব মেয়েরা K-3'র জন্য আবেদন জানাতে পারে। এক্ষেত্রে আবেদন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে বয়সের কোনও মাপকাঠি দেওয়া হয়নি। আবেদন গৃহীত হলে আবেদনকারী পড়ুয়া প্রতি মাসে ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা পাবে সরকারের কাছ থেকে।

তথ্য বলছে ইতিমধ্যেই ৩ কোটি ৩ লক্ষ ৬৩ হাজার ৯০টি আবেদন এই প্রকল্পের জন্য মঞ্জুর হয়েছে। এই ৩ কোটির মধ্যেই রয়েছে নতুন করে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করা পড়ুয়ারা আবার রয়েছে পুরাতন পড়ুয়ারাও। মানে কন্যাশ্রী প্রকল্পের K-1, K-2 ও K-3 ৩টি স্তরের পড়ুয়ারাই রয়েছে এই ৩ কোটির হিসাবের মধ্যে। সেখানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ক্ষেত্রে রাজ্যের বর্তমান উপভোক্তার সংখ্যা ২ কোটি ১০ লক্ষের মতো। অর্থাৎ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের থেকেও প্রায় ১ কোটি বেশি উপভোক্তা হয়ে গিয়েছে। এই ছবিই কিন্তু বলে দিচ্ছে, বাংলার জনতার আজও বড় ভরসার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকারের চালু করা এই সমস্ত আর্থসামাজিক প্রকল্প।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Share this article
click me!

Latest Videos

‘মমতা West Bengal-কে London বানাতে গিয়ে Lahore বানিয়ে ফেলেছেন’ Mamata-কে চরম খিল্লি Dilip Ghosh-এর
‘Bangladesh পরিকল্পিতভাবে যুদ্ধ বাঁধানোর চেষ্টা করছে!’ বিস্ফোরক মন্তব্য Sovondeb Chatterjee-এর
'ভারত চাইলে ২ মিনিটে ইউনুসকে ফানুস বানিয়ে ছাড়বে', চরম কটাক্ষ করলেন Samik Bhattacharya
BGB'র বাধা! কাঁটাতারের বেড়া দিল গ্রামবাসীরা, রক্ষা করল BSF | India Bangladesh Border | #shorts |
রেডি BSF! কাঁটাতার লাগাতে আসলেই বাধা দিচ্ছে BGB! এবার শিবরামপুরে | Balurghat | BSF | Border