লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মত প্রকল্পগুলিকে এবার স্বীকৃতি দিল কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রীয় রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভোগব্যয় বৃদ্ধিতে দেশের মধ্য এগিয়ে রয়েছে বংলা, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-কন্যাশ্রীর মত প্রকল্পগুলির জন্যই সম্ভব।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের রাজ্য সরকার টাকা দেয়।
রাজ্য ছাড়িয়ে দেশ
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জনপ্রিয়তা আর সাফল্যে রাজ্যের গণ্ডী ছাড়িয়ে ভিনরাজ্যে পৌঁছে গেছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মত প্রকল্প দেশের একাধিক রাজ্যে চালু করেছে সেই রাজ্যের সরকার।
এবার কেন্দ্রের সার্টিফিকেট
এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মত প্রকল্পগুলিকে দরাজ সার্টিফিকেট দিল কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রের রিপোর্ট
কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির স্বীকৃতি দিল। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার যে হাউজহোল্ড কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার সার্ভে রিপোর্ট তথা গৃহস্থের ভোগব্যয় সম্পর্কিত সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে
রিপোর্টে উল্লেখ
রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলার গ্রামীণ পরিবারের চাল, ডাল কেনার বাইরে ভোগব্যয় দেশের অন্যান্য রাজ্যের চেয়ে বেশি হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
দেশের সঙ্গে তুলনা
গোটা দেশে এই বৃদ্ধির হার যেখানে সাড়ে ৩ শতাংশ, সেখানে পশ্চিমবঙ্গে এই বৃদ্ধির হার ৫.৩৯ শতাংশ। দেশে এক বছরে মাথাপিছু গড় ক্রয়ক্ষমতা ৩ হাজার ৮৬০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ২৪৭ টাকা। শহর এলাকায় এটা বেড়েছে ১.১৭ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে বেড়েছে সাড়ে ৩ শতাংশ। এই বৃদ্ধির হার পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ৫.৩৯ শতাংশ।
রিপোর্টে দাবি
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, কৃষকবন্ধু, বার্ধক্য ভাতা ইত্যাদি মমতার যেসব প্রকল্পে সরাসরি উপভোক্তাদের হাতে অর্থ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে তার সুফল হিসাবেই গ্রামীণ পরিবারগুলির ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে এবং গ্রামীণ পরিবারগুলির খাদ্যশস্যের বাইরে অন্যান্য পণ্য কেনার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে স্বীকৃতি
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ও কন্যাশ্রীর মতো মমতার সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্প রাজ্যবাসীর জীবনে যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটিয়েছে। বলে এবার মেনে নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।
রিপোর্টে আশা
রিপোর্টে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে গ্রামীণ ভারতের ভোগ্যপণ্য ক্রয় বাড়তে শুরু করেছে। যার পিছনে রয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মত প্রকল্পগুলি সাফল্য।
কী কী কিনছে গ্রামীণ বাংলা
কেন্দ্রীয় সরকারের অন্য একটি সমীক্ষাই বলছে, মাংস, ডিম, দুধের মতো প্রাণীজ প্রোটিন উৎপাদন ও ভোগে দেশে শীর্ষে বাংলা। গ্রামীণ ভারতে বেড়েছে নানা ধরনের ভোগ্যপণ্যের ক্রয়-বিক্রয়।