সিপিএম-এও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার? দলীয় সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েই আলোচনা

টানা ৩৪ বছর এই রাজ্যে দাপটের সঙ্গে শাসনকার্য চালিয়েছিল সিপিএম। কিন্তু ২০১১ সালে হারের পর আর কোমর শক্ত করে দাঁড়াতেই পারছেন না।

একের পর একে ভোটে হারতে হারতে ভোট বাক্সে প্রায় বিলীন হতে চলেছে সিপিএম। বর্তমানে তৃতীয় কি চতুর্থ স্থানেই লড়াই শেষ করতে হচ্ছে সিপিএম প্রার্থীদের।

কেন সাংসদীয় রাজনীতিতে সিপিএম-এর দুর্দশা? দলের অন্দরে বাইরে সর্বত্রই সেই আলোচনা চলছে। এবার সিপিএম-এর প্রায় সমস্ত এরিয়া কনফারেন্সেই এই বিষয়ে নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে।

সিপিএম-এর এরিয়া সম্মেলনে আলোচনা হয়েছে ভোটারদের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রভাবের মধ্যে। যা নিয়ে একবাক্যে প্রায় সিপিএম নেতাই একমত হয়েছে।

সিপিএম সূত্রের খবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রভাবের কারণ নিয়ে আলোচনা করতে গিয়েই উঠে এসেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের কথা।

সিপিএম-এর এরিয়া সম্মেলনের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে অনুযায়ী লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মাধ্যেই এই রাজ্যের জনসামনে রীতিমত শক্তপোক্ত জায়গা তৈরি করতে পেরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মহিলাদের মধ্যে মমতার দুর্দান্ত প্রভাবের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

সিপিএম সূত্রের খবর মমত বন্দ্যোপাধ্যায়ের একের পর এক জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের কথাও আলোচনা করা হয়েছে দলীয় সম্মেলনে। সেখানে বলা হয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে কন্যাশ্রী প্রকল্পরের কারণেই এই সাফল্য।

সিপিএম সূত্রের খবর, সম্মেলনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, দলের মিছিল মিটিং-এ আসা অনেক মহিলাও বুথে গিয়েছে ভোট দেয় না সিপিএমকে। যার কারণ একমাত্র লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনকল্যাণমূলক প্রকল্প নিয়ে সিপিএম -এর দলীয় নেতা কর্মীদের মধ্যে একটা সময় নাকসিটকানো মনোভাব ছিল। যার কারণে জনতার থেকে তারা দূরে সরে গেছেন। তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

সিপিএম-এর দলীয় সম্মেলনে আলোচনা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার জনপ্রিয়। শুধু এই রাজ্যে নয়, দেশের একাধিক রাজ্যেও মডেল হিসেবে এইজতীয় প্রকল্প চালু করা হয়েছে।