রাতারাতি ভাইরাল হয়েছেন মধ্যমগ্রামের সন্দীপ দাসগুপ্ত। ঝড় বৃষ্টি কে উপেক্ষা করেই মধ্যমগ্রাম সোদপুর রোডের ধারে তার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে পথ চলাটা এত সহজ ছিল না ।
সময়টা ২০২৩,তার স্ত্রীর হাতে তৈরি ৮ প্যাকেট বাসন্তি পোলাও ঘরোয়া তৈরি চিকেন নিয়ে বসে পরলেন রাস্তায় শুরু হল নতুন এক জীবন। আসতে আসতে প্যাকেট বাড়লো,পোলাও এর গামলা বাড়লো,চিকেন এর সাথে বাড়লো মটন। নিরামিষ হলে রয়েছে আলুর দম। আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বাসন্তী পোলাও আর মাংস এর যুগলবন্দী প্যাকেজ কম খরছে সকলের মন জয় করে নিয়েছে। রাতারাতি ভাইরাল হয়েছেন মধ্যমগ্রামের সন্দীপ দাসগুপ্ত। ঝড় বৃষ্টি কে উপেক্ষা করেই মধ্যমগ্রাম সোদপুর রোডের ধারে কালিবাড়ি এলাকায় তিনি অস্থায়ী ভাবে টেবিল পেতে মাথার উপর একটা ছাতা নিয়েই তার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
তবে পথ চলাটা এত সহজ চিল না সালটা ২০১৯,হঠাৎই বন্ধ হয়ে গেলো হ নামি বিমান সংস্থা(জেট এয়ারওয়েজ) তিনি এই বেসরকারি সংস্থায় ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন,সকলের মত তার চাকরিও চলে গেলো আচমকাই। তখন তিনি কলকাতায় কর্মরত ।১৩-১৪ সালে যখন সন্দীপ বাবু এই বিমান সংস্থায় চেন্নাই এ পোস্টিং ছিলো,তখন বাবার কঠিন মারন রোগ ব্রোনম্যারো ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। সেই খবর শোনার পরই কলকাতায় ট্রান্সফার নেয় সন্দীপ। তবে বাবা কে শেষ রক্ষা করতে ব্যর্থ হন তিনি,বাবা চলে যাওয়ার পর মা কেও আর ধরে রাখতে পারেননি সন্দীপ বাবু। এরপরই সেই কালবৈশাখী ঝড়ের মত তার জীবিনে আসে প্রবল ঝড়। বন্ধ হল বেসরকারি এই বিমান সংস্থা। আকাশ ভেঙ পড়লো তার মাথায়।অনেক চেষ্টার পর সৌদি আরবে মিললো কন্ট্রাকচুয়াল কাজ।চলে গেলেন সব ছেড়ে,অর্থাৎ স্ত্রী সন্তান ছেড়ে চলে গেলেন সৌদিতে। তবে বাড়ির সমস্যা,দেশে ফিরে আসার চিন্তা,সবমিলিয়ে কাজে মন বসলো না সন্দীপ দাসগুপ্ত এর। ফের চলে এলেন তার ঠিকানায়। তবে কি করবেন মাথায় আসছিলো না। তাই সব সামলিয়ে শেষমেস শুরু করলেন খাবারের ব্যবসা। হাজার প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে ভাইরাল এই পোলাউ কাকু। এশিয়া নেট বাংলা।