মুখ্যমন্ত্রীকে দরজার কাছে দেখা মাত্রই হুড়মুড় করে এগিয়ে আসেন সকলে। মমতা নিজেও উদ্যোগী হয়ে তাঁদের সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষণ কথা বলেন।
৪ মে মালদহ ও মুর্শিদাবাদে প্রশাসনিক পর্যালোচনা সভা করার ডাক দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই উদ্দেশ্যে আজ সরাইঘাট এক্সপ্রেসে চড়ে মালদহ সফরে রওনা হয়েছেন তিনি। বুধবার তাঁর যাত্রাকালে বর্ধমানের পর কিছু ক্ষণ বোলপুর স্টেশনে দাঁড়িয়েছিল এই ট্রেন। ট্রেন থামতেই দরজায় দেখা গেল স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। এই উচ্ছ্বাসেই ফেটে পড়লেন বীরভূমের মানুষ। মমতার ছবি তুলতে ও একটিবার তাঁর সাথে হাত মেলানোর জন্য আগ্রহী হয়ে ওঠেন সকলেই। মানুষের উৎসাহ দেখে আবেগান্বিত হয়ে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেও।
বুধবার বিকেলেবেলা বোলপুরে ট্রেন থামার পরেই দরজার কাছে এসে দাঁড়ান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগে থেকেই স্টেশন চত্বরে তাঁর অপেক্ষায় দাঁড়িয়েছিলেন দলের নেতা-কর্মী এবং সমর্থকরা। মুখ্যমন্ত্রীকে দরজার কাছে দেখা মাত্রই হুড়মুড় করে এগিয়ে আসেন সকলে। মমতা নিজেও উদ্যোগী হয়ে তাঁদের সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষণ কথা বলেন। স্টেশন থেকে তাঁর হাতে চপ-মুড়ি তুলে দেন জেলার নেতারা।
এরপর ট্রেন থেকে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে অমর্ত্য সেনের হয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের উৎখাত করার নোটিসের বিরুদ্ধে বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় কর্মীদের তিনি নির্দেশ দেন, বিশ্বভারতীর সঙ্গে জমি বিতর্কে অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়ে যেন ভালো করে আন্দোলন সংগঠিত করা হয়। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিন্হাকে নোবেলজয়ীর বাড়ি ‘প্রতীচী’র কাছে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভ আয়োজনও করারও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো মঞ্চ বাঁধার কাজও শুরু হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, বুধবারও দলের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে অমর্ত্যের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে গিয়েছেন মমতা। এই বিষয়ে নির্দিষ্ট পরামর্শও দিয়েছেন চন্দ্রনাথ এবং বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরীকে। পরে স্টেশন থেকে ফেরার পথে এক জেলা নেতা বলেন, ‘‘অমর্ত্যবাবুর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন দিদি। আগামী ৬ এবং ৭ তারিখ ভাল করে আন্দোলন করতে বলেছেন আমাদের। আমরা দিদির কথা মতোই আন্দোলন করব।’’
আরও পড়ুন-
স্কুটিতে সিটবেল্ট পরবেন কীভাবে? এই প্রশ্ন নিয়েই পুলিশকে ফাইন দিতে হল বিহারের কৃষ্ণকুমারকে
ভ্লাদিমির পুতিনকে ড্রোন হামলা করে মেরে ফেলার চেষ্টা! ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর দাবি রাশিয়ার