বাংলার পর্যটন মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ বেঙ্গল সাফারি পার্ক। সেখানে আসছে আরও পশুপাখি।
বাংলার পর্যটন মানচিত্রে আরও আকর্ষনীয় হচ্ছে বেঙ্গল সাফারি পার্ক। শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কের এবার পর্যটকদের নতুন আকর্ষণ হতে চলেছে 'ব্ল্যাক বাক'। পাশাপাশি পার্কে থাকা একশৃঙ্গ গন্ডারের নিঃসঙ্গতা কাটাতে আনা হচ্ছে আরও একটি গন্ডার। প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা সেরে ফেলেছে বেঙ্গল সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই দুই প্রজাতির নতুন জন্তু পার্কে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও পর্যটকদের পার্কের প্রতি আকর্ষণ বাড়াতে আরো বেশ কিছু জীবজন্তু আনার চিন্তাভাবনা রয়েছে পার্ক কর্তৃপক্ষের। মোট কথা পর্যটকদের কথা মাথায় রেখেই বেঙ্গল সাফারি পার্ককে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার।
উত্তরবঙ্গে আসা পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় সালুগাড়ায় অবস্থিত বেঙ্গল সাফারি পার্ক। পর্যটকরা পার্কে এলে বন্যজীব জন্তুদের পাশাপাশি গভীর জঙ্গলে সাফারি করতেও পারবেন। পর্যটকরা এই সাফারিতে বনদপ্তরের গাড়িতে চড়ে একেবারে সামনে থেকে দেখতে পাবেন রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরিণ, চিতা, কালো ভাল্লুক এবং একশৃঙ্গ গন্ডার। তবে এবার পার্কে আসা পর্যটকদের সফরকে আরও আকর্ষণীয় করতে আরও নতুন জীব জন্তু আনতে চলছে পার্ক কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার পার্কে এই নিয়ে একটি বৈঠক করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য বনপাল (উত্তরবঙ্গ) রাজেন্দ্র জাখোর, দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক পুনমবালাম এস, ডিএফও কার্শিয়াং ও বেঙ্গল সাফারি পার্কের ডিরেক্টর কমল সরকার সহ বনদপ্তরের আধিকারিকরা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখমুখি হয়ে রাজেন্দ্র জাখোর বলেন, পর্যটকদের কাছে বেঙ্গল সাফারি পার্কের আকর্ষণ বাড়াতে এনিম্যাল এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে আরও কিছু নতুন জীবজন্তু আনা হবে। ইতিমধ্যে পার্কে তরফে টাটা জিওলজিকাল পার্কের সাথে কথা বলা হয়েছে। সেখান থেকে ব্ল্যাক বাক আনার কথা প্রাথমিক স্তরে হয়েছে। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে বেঙ্গল সাফারি পার্কে একাই রয়েছে এক শৃঙ্গ গন্ডার। তাই তার নিঃসঙ্গতা কাটাতে আরও একটি গন্ডার আনার আলোচনা চলছে। আমরা চাই পার্কের উন্নয়ন ঘটিয়ে কিভাবে পার্কে পর্যটকদের আকর্ষণকে বাড়ানো যায়।
প্রসঙ্গত, 'ব্ল্যাক বাক' মূলত এক প্রজাতির হরিণ। এই হরিণ বিশেষ করে পাকিস্তান ও নেপালের কিছু অংশে পাওয়া যায়। বর্তমানে জামশেদপুরের টাটা জিওলজিক্যাল পার্কে এই প্ৰজাতির হরিণ রয়েছে। তাই সেখান থেকেই এই ধরনের হরিন আনা হচ্ছে। অন্যদিকে বেঙ্গল সাফারি পার্কে মাত্র একটি গন্ডার রয়েছে ফলে আরো একটি গন্ডার আনলে সেক্ষেত্রে তাদের মধ্যে প্রজনন ঘটালে বেঙ্গল সাফারি পার্কে গন্ডারের সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করছে কর্তৃক।
আরও পড়ুনঃ
৭৫ বছরে এটাই শ্রেষ্ঠ বাজেট, কোয়েম্বাটুরে বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর
নারকীয় চিকিৎসা মধ্য প্রদেশে! নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুর গায়ে ৫১ বার ছ্যাঁকা
চালু হচ্ছে কোচবিহার-কলকাতা বিমানবন্দর, পঞ্চায়েত ভোটের আগে আবার আশাবাদী আমজনতা