রাজ্যের হয় অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কেন্দ্র সেই আবেদনে সড়া দেয়নি বলে অভিযোগ চন্দ্রিমার।
শনিবার নতুন দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠক। কিন্তু সেই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের কোনও প্রতিনিধি থাকছেন না। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ও মুখ্য সচিবকে বৈঠকে পাঠানের জন্য তৃণমূল সরকার কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকারের আবেদন কেন্দ্র প্রত্যাখ্যান করেছে বলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন। আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীতি আয়োগের অষ্টম বৈঠকে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন। সূত্রের খবর কেন্দ্রের বকেয়া টানা না পাওয়ার জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় রাজ্য সরকার রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবকে বৈঠকে যোগ দিতে অনুমতি দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী এই বৈঠকে যোগ দিতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া অন্য কাউকে মিটিংয়ে যোগদানের অনুমতি একটি পরোক্ষ উপায়। তাই কেন্দ্রীয় সরকার তাতে ছাড়পত্র দেয়নি। আর সেই রাজ্যে শনিবার দিল্লিতে গুরুত্বপূর্ণ নীতি আয়োগের বৈঠকে থাকছে না রাজ্যের কোনও প্রতিনিধি।
এদিন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য প্রশ্ন তুলেছেন, 'রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অন্য কোনও কাজে ব্যস্ত থাকেন তাহলে তিনি কি তাঁর পরিবর্তে অন্য কোনও প্রতিনিধি পাঠাতে পারেন না ?সর্বোপরি আমি রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। রাজ্যের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারি। আমি বুঝতে পারছি না অর্থমন্ত্রীকে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে দেওয়া হল না কোন যুক্তিতে।' চন্দ্রিমা আরও অভিযোগ করে বলেন, রাজ্যের বকেয়া টাকা না দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এই চক্রান্ত করছে। যখন রাজ্যের দুই প্রতিনিধি নীতি আয়োগের সভায় যোগ দিতে প্রস্তুত তখন কেন্দ্র তাদের সেই অনুমতি দিচ্ছে না। তিনি আরও বলেছেন তিনি যদি প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেতেন তাহলে বৈঠকে তুলে ধরতেন রাজ্যের কত টাকা বকেয়া রয়েছে। তিনি আরও বলেন, রাজ্যকে তাঁর প্রাপ্য বকেয়া থেকে বঞ্চিত করার জন্যই কেন্দ্রীয় সরকার এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, সিপিআইএম-এর মত ১৯ বিরোধী দলের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসও ২৮ মে নতুন সংসদভবনের উদ্বোধন বয়কট করার এক দিন আগেই হচ্ছে নীতি আয়োগের বৈঠক। দিন কয়েক আগেই মমতা যে বৈঠকে যোগ দেবেন না তা জানিয়ে দিয়েছিলেন।
যাইহোক নীতি আয়োগের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই বঠকে সভাপতিত্ব করবেন। কয়েক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও কাউন্সিলের সদস্য। রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীরও এর সদস্য। তবে রাজ্যের প্রাপ্য টাকার দাবিতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মার্চ মাসেই কলকাতায় দুই দিনের অবস্থান বিক্ষোভ করেছিলেন কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে। এর আগে ২০১৯ সালে নীতি আয়োগের বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছিলেন মমতা। সেইসময় তাঁর অভিযোগ ছিল থিঙ্ক ট্যাঙ্কের কোনও ক্ষমতা নেই মিটিংগুলি অর্থহীন।
আরও পড়ুনঃ
হর শিখর তিরঙ্গা- প্রতিরক্ষা মন্ত্রক শুরু করেছে অভিনব একটি উদ্যোগ
Watch New Parliament: চোখ ধাঁধানো নতুন সংসদ ভবনের ভিডিও, উদ্বোধনের আগেই ভাইরাল