৪ মাস ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে বার্ধক্য-বিধবা ভাতা! প্রকল্প বন্ধ করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
প্রবীণ নাগরিকদের জন্য প্রতি মাসে বার্ধক্য ভাতা দেওয়া হয়ে থাকে, তেমনি রাজ্যের বিধবা মহিলাদেরও বিধবা ভাতা দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু এই প্রকল্পগুলিতে মিলছে না টাকা! তাহলে কি বন্ধ করে দেওয়া হল এই প্রকল্প?
এত দিন বার্ধক্য ভাতা বা বিধবা ভাতা প্রকল্পে প্রতি মাসে বাবদ এক হাজার টাকা করে দেওয়া হত উপভোক্তাদের। যা দিয়ে অন্তত মাসিক হাত খরচা পাওয়ার পাশাপাশি, প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র কেনা যেত। বেশ সুবিধাই হয়ত নাগরিকদের।
কিন্তু বিগত ৪ মাস ধরে প্রতি মাসে ঢুকছে না বিধবা ভাতা ও বার্ধক্য ভাতা। যার ফলে বেজায় সমস্যায় পড়েছেন গ্রাহকরা।
এর আগেও মাঝে কয়েকবার টাকা ঢুকতে দু-এক মাস দেরি হয়েছিল কিন্তু পরে সেই টাকা ঢুকে গিয়েছে৷ কিন্তু এ বার পরিস্থিতি অন্য রকম।
গ্রাহকরা অভিযোগ জানিয়েছে যে, চলতি বছর আগস্ট মাসের পর থেকে আর প্রাপ্য টাকা ঢুকছে না গ্রাহকদের ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে।
তবে পরে আগস্টের টাকা ঢুকেছিল অক্টোবর মাসের শুরুর দিকে। এরপর ফের বন্ধ হয়ে গিয়েছিল টাকা ঢোকা। ফলে মাসিক খরচ সামলাতে বেশ বিপাকে পড়েছেন প্রবীণেরা।
এই প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে জেলায় নথিভুক্ত হওয়া বার্ধক্য ভাতা প্রাপকের সংখ্যা ১ লক্ষ ৬ হাজার ৫০৭ জন।
অন্যদিকে জেলায় বিধবা ভাতা পান ৮৭ হাজার ৪০৯ জন। এ ছাড়াও প্রতিবন্ধীদের জন্য যে মানবিক ভাতা রয়েছে, তা পান ৪০ হাজার ৬৩ জন।
লক্ষ্মীর ভান্ডারের নথিভুক্ত প্রাপকের সংখ্যা ৮ লক্ষ ৮৭ হাজার ২৯৭ জন। এগুলির মধ্যে এখন শুধুমাত্র লক্ষ্মীর ভান্ডার ও মানবিক পোর্টালে নতুন করে নথিভুক্ত করার সুযোগ রয়েছে।
তবে বার্ধক্য ভাতা ও বিধবা ভাতার ক্ষেত্রে নতুন নাম নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া এখন বন্ধ।
সিউড়ি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কয়েকজন গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে না বার্ধক্য ও বিধবা ভাতা।