আইএসএফ-এর মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বচসা। এরপরই বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে ঘটনাস্থলে।
পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে অশান্তি যেন থামছেই না। মুর্শিদাবাদ, বর্ধমানের পর এবার উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দেওয়া ঘিরে তীব্র সংঘর্ষ বাঁধে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) এবং তৃণমূলের মধ্যে। আইএসএফ-এর মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বচসা। এরপরই বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে ঘটনাস্থলে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্থানীয় পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসও। পালটা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ও ইট ছোড়ার অভিযোগও উঠেছে। ফলত প্রাথমিকভাবে পিছু হটতে বাধ্য হয় পুলিশ।
সূত্রের খবর সোমবার ভাঙর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে আইএসএফ কর্মীদের বাধা দেয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। পুলিশ সূত্রে খবর মঙ্গলবার ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের বিজয়গঞ্জ বাজার এলাকায় সংঘর্ষ বাঁধে দু'পক্ষের মধ্যে। চলে তীব্র বোমাবাজি। মুহুর্মুহু পড়তে থাকে বোমা। সাত রাউন্ড গুলিও চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। গোটা ঘটনার জন্য দু'পক্ষই একে অপরকে দায়ী করছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্তি সিপিএম এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। ঘটনাটি ঘটে বর্ধমান জেলার বড়শুলে। দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে, মারামারি ও ইট বৃষ্টির অভিযোগ। ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী। জানা যাচ্ছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়েই আক্রান্ত হন তাঁরা। সূত্রের খবর, বর্ধমান দুই ব্লকের বড়শুলে সোমবার মনোনয়ন জমা দিতে গেলে তাঁদের বাধা দেয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। একে অপরকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইটও। পুলিশ বাধা দিতে গেলে আহত হতে হয় তাঁদেরও।
এই ঘটনার পরই বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে ঘটনাস্থলে। ইট বৃষ্টির জেরে আহত হয়েছেন অনেকেই। শক্তিগড় থানার ওসি-সহ জখম হয়েছেন আরও দু'জন পুলিশ কর্মী। ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। উল্লেখ্য মুর্শিদাবাদ জেলার পর এবার বর্ধমানেও ছড়িয়ে পড়ল অশান্তির আগুন। অন্যদিকে সোমবার রাতে হুগলির আরামবাগে গ্রেফতার হলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। হরিণখোলা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এই অভিযুক্ত আব্দুল আজিজ খান। উল্লেখ্য পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় হিংসার খবর আসে। বিশেষত মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম, ডোমকলের ঘটনার পর থেকেই উত্তেজনা রাজ্যরাজনীতিতে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হল আরও এক তৃণমূল নেতা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বারবার তৃণমূল নেতা কর্মীদের গ্রেফতারি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।