রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কনসভয় পৌঁছে যায় উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরে। সেখানে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। তারপর রাজ্যপালের কনভয় যায় ব্যারাকপুরে।
কথা মত কাজ করতে শুরু করে দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ভোটের দিন সকালেই কনভয় নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন ভোট পরিদর্শনে। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন ভোটের সকাল থেকেই তিনি সক্রিয় থাকবেন রাজ্য হিংসা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য। এদিন প্রথমেই যান উত্তর ২৪ পরগনায়। যদিও সেখানে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে।
এদিন সকালেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কনসভয় পৌঁছে যায় উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরে। তবে শ্যমনগরের বাসুদেবপুরে স্থানীয় বাসিন্দারা রাজ্যপালকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে। স্থানীয়দের অভিযোগ , এলাকায় পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই। তাই সেই কারণে ভোটাদের নিরাপত্তা ক্ষুন্ন হচ্ছে। তারপর তিনি যান ব্যারাকপুরে। সেখানে এক নম্বর ব্লকের কাউগাছি ২ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায় সিপিএম ও বিজেপি কর্মীরা রাজ্যপালকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায়। তাদের অভিযোগ শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে না। কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ওপরেই রাজ্যপালের গাড়ি আটকে অভিযোগ জানায় দুই রাজনৈতিক দলের সগস্যরা।।
যদিও রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে শুক্রবার রাত থেকেই জেলায় জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা পৌঁছে গেছে। কিন্তু স্থানীয়রা কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখতে না পাওয়ায় একাধিক জায়গায় বুথে তালা মেরে ভোটের কাজ বন্ধ করে দেয়। এদিন যখন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কনভয় বাসুদেবপুর দিয়ে যাচ্ছিল সেই সময়ই তাঁর কনভয় আটকে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ তাদের একালায় পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়নি। আর সেই কারণে তাঁদের ভোট দিতে যেতে হচ্ছে একরাশ আতঙ্ক নিয়ে।
রাজ্য নির্বাচনে কমিশের চাহিদা মত রাজ্যে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে। এক কোম্পানিতে ৮০ জন করে জওয়ান থাকবে বলে যদি ধরে নেওয়া হয় তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা ৬৫ হাজার। রাজ্যে বুথের সংখ্যা ৬৩ হাজারের বেশি। রাজ্য পুলিশের সংখ্যা ৭০ হাজার। সব মিলিয়ে রাজ্যে হাতে নিরাপত্তা বাহিনী থাকবে ১৩৫০০০ । তাই সব বথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যাবে না। তবে ৫০ : ৫০ অনুপাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্যে পুলিস মোতায়েন করা হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে।
ভোটের শুরুতেই এদিন একাধিক জায়গায় অশান্তি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। মুর্শিদাবাদে তিন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। কোচবিহারে বুথে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে মনোনয়নপত্র পেশের সময় যেভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড় ভোটের দিন সকালেও ভাঙড় উত্তপ্ত। সেখানে গুলি চলেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।