WB Panchayat Election 2023: ২০১৯ সালের বিজেপির জেতা আসনও ২০২৩ সালে দখল করেছে তৃণমূল, দেখুন পরিসংখ্যান

এমন অনেক এলাকা রয়েছে যেখানে দলের এসসি-এসটি ভোট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মনে করা হচ্ছে এই জায়গাগুলিতে তৃণমূল, বিজেপির ভোটবাক্সে ব্যাপক ক্ষতি করেছে।

Parna Sengupta | Published : Jul 14, 2023 11:31 AM IST

পঞ্চায়েত নির্বাচনে জনমত আবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসকে বিশাল নেতৃত্ব দিয়েছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের এই নির্বাচনকে সব দলের জন্য অ্যাসিড টেস্ট হিসেবে ধরা হচ্ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী দলকে ভেঙে দিয়ে বাংলায় প্রতি ১০টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৯টি দখল করেছে বলে পরিসংখ্যান জানাচ্ছে।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং দলের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার ফেসবুক পেজের মাধ্যমে বলেছেন যে গ্রামীণ নির্বাচনে সর্বত্র কেবল তৃণমূল রয়েছে। দলের প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও আশীর্বাদের জন্য তিনি ধন্যবাদ জানান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে এই নির্বাচন স্পষ্টভাবে প্রমাণ করেছে যে রাজ্যের মানুষের হৃদয়ে কেবল তৃণমূলই বাস করে।

নন্দীগ্রামে দেখা গেল তুমুল প্রতিযোগিতা

পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল রাজ্যের ২০টি জেলা পরিষদে জিতেছে। এর সাথে ৩৪১টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ৩১৭টি এবং ৩৩১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ২৬৪৪টি জিতেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতি তিনটি আসনের মধ্যে একটি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল, যেখানে এবার এটি দশটির মধ্যে একটিতে ঘটেছে।

রাজ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিজেপি প্রায় ১০ হাজারটি আসন জিতেছে। সিপিআই(এম) প্রায় তিন হাজার আসন নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। রাজ্যের কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেসকে কড়া টক্কর দিয়েছে। সেই সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে দুই দলের মধ্যেই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা গেছে। নন্দীগ্রাম বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর খাস তালুক হলেও সেখানে বিজেপিকে কড়া টক্কর দিয়েছে তৃণমূল।

বিজেপির এসসি-এসটি ভোটে প্রভাব

ভোট ভাগের নিরিখে, এই জায়গাগুলিতেও বিজেপি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উত্তরে দিনহাটা থেকে দক্ষিণবঙ্গের ঠাকুরনগরের মতুয়া পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল এই এলাকা। আসলে দুই বছর আগেও এই এলাকাগুলি বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি গতবারের চেয়ে বেশি আসন পেয়েছে, কিন্তু ভোটের হারের দিক থেকে দলটি ক্ষতির মুখে পড়েছে।

এর পাশাপাশি এমন অনেক এলাকা রয়েছে যেখানে দলের এসসি-এসটি ভোট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মনে করা হচ্ছে এই জায়গাগুলিতে তৃণমূল, বিজেপির ভোটবাক্সে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। SC-ST জনবহুল স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া। এখানে তাদের মোট জনসংখ্যা ৫১ শতাংশের বেশি। ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিজেপি এখানে ১৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে আটটি জিতেছিল।

এদিকে, তিনটি জেলার তিনটি ব্লকে বাতিল হয়েছে ভোট। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া ২, হাওড়ার সাঁকরাইল এবং হুগলির সিঙ্গুর। কারণ হিসাবে নির্বাচন কমিশন বলেছে এই তিন ব্লকেই ব্যালট পেপার নষ্ট করা হয়েছে। এর ফলে এই তিনটি ব্লকেই ফের করা হবে পঞ্চায়েত ভোট। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া ২, হাওড়ার সাঁকরাইল এবং হুগলির সিঙ্গুর। এই তিন ব্লকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বুথে ভোট বাতিল হয়েছে হাওড়ার সাঁকরাইলে। মোট ১৫ বুথে ভোট বাতিল করা হয়েছে সেখানে। এর পরেই রয়েছে হাবড়া ২। এ ছাড়া সিঙ্গুরেরও একটি বুথে ভোট বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।

Read more Articles on
Share this article
click me!