বৃহস্পতিবার থেকেই চালু নির্বাচনী আচরণবিধি-৮ই জুলাই পঞ্চায়েত ভোট, আর কী বলল নির্বাচন কমিশন, জেনে নিন বিস্তারিত

বৃহস্পতিবার থেকেই রাজ্যে নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে যাচ্ছে। ফলে রাত ১০টা থেকে সকাল ৮ পর্যন্ত মিটিং মিছিল করা যাবে না।

পঞ্চায়েত ভোট হচ্ছে ৮ই জুলাই। সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। কয়েক দফা নয়, এক দফাতেই ভোট হবে। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা জানান ‘‘দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এ দ্বিস্তর এবং বাকি রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ৮ জুলাই, শনিবার করা হবে। মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে ৯ জুন থেকেই।’’ এদিকে, বৃহস্পতিবার থেকেই রাজ্যে নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে যাচ্ছে। ফলে রাত ১০টা থেকে সকাল ৮ পর্যন্ত মিটিং মিছিল করা যাবে না।

৮ জুলাই মানে আষাঢ় মাসের শেষ সপ্তাহ। বাংলায় বর্ষা আসে জুন মাসের মাঝামাঝি। সে ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত ভোট হবে ভরা বর্ষাতেই। আর আগের বারের মতো এ বছরও এক দফাতেই হবে রাজ্যের ২২টি জেলার পঞ্চায়েত ভোট। বুধবার এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছে কমিশন। আগামী ৮ জুলাই, শনিবার রাজ্যের ৬৩ হাজার ২৮৩টি আসনে একদফাতেই ভোট গ্রহণ করা হবে। মোট ২২টি জেলায় ৩৩১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৮ হাজার ৫৯৪। মোট পঞ্চায়েত আসন ৬৩ হাজার ২৮৩টি।

Latest Videos

রাজ্যের নতুন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে বুধবারই দায়িত্ব নিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা। তিনি জানিয়েছেন ৯ জুন থেকে মনোনয়ন জমা শুরু। ১৫ জুন মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। রাজীব প্রথমে জানান, সাধারণত ভোটগ্রহণের ১-২ দিন পরে। এ ক্ষেত্রেও নিয়ম অনুযায়ী করা হবে। পরে কমিশন সূত্রে জানা যায়, আগামী ১১ জুলাই গণনা হতে পারে। ১৭ তারিখ স্ক্রুটিনির শেষ দিন। মনোনয়ন প্রত্যাহার করার জন্য ২০ জুন পর্যন্ত সময় পাবেন পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থীরা। উল্লেখ্য, নবান্নের পক্ষ থেকে রাজ্যপালের কাছে রাজীবের নাম নির্বাচন কমিশনার হিসাবে পাঠানো হয়েছিল। প্রথম দিকে রাজ্যপাল সেই সুপারিশে অনুমোদন না দিলেও পরে তা অনুমোদন করেছেন বলে রাজভবনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

পঞ্চায়েত ভোটের তারিখ নিয়ে দীর্ঘ জল্পনা চলছিল রাজ্যে। সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত ভোটের তারিখ ঘোষণা করেছেন নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনার। গত ২৮ মে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে সৌরভের মেয়াদ শেষ হয়। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে রাজ্য এবং রাজভবনের মধ্যে সংঘাত তৈরি হয়। তবে সংঘাতের আবহ তৈরি হলেও রাজীবের নামেই অনুমোদন দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আর দায়িত্বে এসেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন নতুন নির্বাচন কমিশনার। কমিশন সূত্রে খবর, ভোটে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে রাজ্য পুলিশই। উল্লেখ্য, গত ২০১৮ সালের ১৪ মে রাজ্যে একদফাতেই হয়েছিল পঞ্চায়েত ভোট।

Share this article
click me!

Latest Videos

Live: মথুরাপুরে সদস্যতা অভিযান অগ্নিমিত্রা পালের, দেখুন সরাসরি
টাকা 'হজম' করার আগেই ধরে ফেলে খেলা ঘুরিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী | Suvendu Adhikari | Awas Yojana
ভাটপাড়ায় প্রোমোটারের 'দাদাগিরি', আতঙ্কে জমির মালিক, কি বলছে পুরসভা! দেখুন | Bhatpara News
'আমি মারা গেলে আমার যেন স্ট্যাচু না হয়' দলের উদ্দেশ্যে বার্তা মমতার
‘সবরমতি রিপোর্ট’ দেখলেন বিজেপির হেভিওয়েটরা! দেখুন কী বার্তা দিলেন সিনেমার ব্যপারে | Sabarmati Report