রবিবার পশ্চিমবঙ্গ বেকারি মালিকদের জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির সম্পাদক তথা মুর্শিদাবাদ জেলার ভগবানগোলা বিধানসভার বিধায়ক ইদ্রিস আলি জানিয়েছেন নভেম্বর মাসের ২০ তারিখ থেকেই দাম বাড়তে চলেছে পাউরুটির।
মধ্যবিত্তের পকেটে চাপ বাড়িয়ে দাম বাড়ছে পাউরুটির। সকালের জলখাবার হোক বা বাচ্চাদের টিফিন সাধারণ মানুষের সহজলভ্য ব্রেকফাস্ট পাউরুটি। এবার মূল্যবৃদ্ধির আঁচ পড়ল সেই পাউরুটিতেও। আগামী মাস থেকেই বাড়তে চলেছে পাউরুটির দাম। রবিবার এমনটাই জানালেন পশ্চিমবঙ্গ বেকারি মালিকদের সংগঠন। তাঁদের ঘোষণা অনুযায়ী প্রতি ৪০০ গ্রাম পাউরুটিতে ৪ টাকা করে বাড়তে চলেছে দাম। আগামী ২০ নভেম্বর থেকেই কার্যকরী হবে এই দাম।
রবিবার পশ্চিমবঙ্গ বেকারি মালিকদের জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির সম্পাদক তথা মুর্শিদাবাদ জেলার ভগবানগোলা বিধানসভার বিধায়ক ইদ্রিস আলি জানিয়েছেন নভেম্বর মাসের ২০ তারিখ থেকেই দাম বাড়তে চলেছে পাউরুটির। মূলত কাঁচামালের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ার কারণেই এই মূল্যবৃদ্ধি। বেকারি মালিক সংগঠন জানিয়েছে বেকারি শিল্পকে বাঁচাতেই এই মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে তাঁরা। পশ্চিমবঙ্গ বেকার্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি এবং পশ্চিমবঙ্গ বেকারি মালিকদের জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি যৌথ ভাবে বৈঠক করে এই মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কত টাকা খরচ বাড়ল আমজনতার?
উল্লেখ্য , ২০ নভেম্বরের আগে কোনও পাউরুটিতে এই বর্ধিত দাম নেওয়া যাবে না বলেও জানিয়েছেন ইদ্রিস আলি। এই প্রসঙ্গে বিধায়ক বলেছেন, "পাউরুটি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল যেমন, ময়দা, চিনি, ঘি ইত্যাদির দাম আকাশছোঁয়া। বেকারি শিল্পকে বাঁচাতেই এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হলাম।" পাশাপাশি সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "পেট্রল, ডিজেল থেকে শুরু করে সব কিছুর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হয়ে চলেছে। এর জন্য উদাসীন কেন্দ্রীয় সরকার দায়ী। কেন্দ্রীয় সরকারের গাফিলতিতে বেকারি শিল্পের প্রচণ্ড ক্ষতি হচ্ছে। বহু বেকারি উঠে যাচ্ছে। তাই এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে পাউরুটির দাম বাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।" প্রসঙ্গত, তিনি আরও দাবি করেন যে এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে পাউরুটির দাম সবচেয়ে কম। গুজরাত, বিহার, ঝাড়খণ্ড, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশে ৪০০ গ্রাম পাউরুটির দাম ৩৬ থেকে ৫০ টাকা। কোথাও আবার তার থেকেও বেশি।
আরও পড়ুন-
শালিমারে ছোট্ট দোকান থেকে দাউদাউ করে ছড়িয়ে পড়ল আগুন, ছট পুজোতেও অগ্নিকাণ্ড থেকে বাঁচল না বাংলা