বুধবার থেকে দুই দিনের কেন্দ্র বিরোধী ধর্না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতায় হবে ধর্না আন্দোলন। পাল্টা দিল্লিতে প্রতিবাদ জানাবে তৃণমূল সাংসদরা।
বুধবার কলকাতায় কেন্দ্রীয় বিরুদ্ধে ধর্নায় বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই দিল্লিতে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা সংসদ চত্ত্বরে বিক্ষোভ দেখাবেন। কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে কাল থেকে দুই দিনের ধর্না অবস্থানে বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার এসপ্ল্যানেডের বিআর আম্বেদকরের মূর্তির সামনে তিনি অবস্থান বিক্ষোভে বসবেন। এই দিনই তাঁর ভাইপো তথা তৃণমূল কংগ্রেসের দ্বিতীয় পদাধিকারী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে ও পশ্চিমবঙ্গের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার অভিযোগ তুলে তিনি সংসাদদের বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেবেন বলেই তৃণমূল সূত্রের খবর।
তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের একটি অংশ জানিয়েছে, গণতন্ত্র, ফেডারেলিজম , সংবিধান ও সংসদকে বাঁচাতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই আন্দোলন শুরু করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার মনরেগা বা MGNREGA প্রকল্প, আবাসন ও সড়ক বিভাগের তহবিল এখনও প্রকাশ করেনি। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ কেন্দ্রীয় সরকার এই রাজ্যের জন্য কিছু করছে না। তিনি বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গই একমাত্র রাজ্য যা কেন্দ্র থেকে কিছুই পায়নি। আমাদের বকেয়া টাকাও দেয়নি। এমনকি এই বছর কেন্দ্রীয় বাজেটেও আমাদের রাজ্যের জন্য কিছু ছিল না।' আর সেই কারণেই বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বুধবার অবস্থান বিক্ষোভে বসবেন তিনি। কলকাতায় ডক্টর বি আর আম্বেদকরের মূর্তির নিচেই অবস্থান বিক্ষোভ করবেন তিনি। ২৯ তারিখ বেলা ১২টা থেকে শুরু হবে। প্রতিবাদ কর্মসূচি চলবে আগামী ৩০ মার্চ সন্ধ্যেবেলা পর্যন্ত।
মমতা আরও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেই তিনি ধর্না অবস্থানে বসবেন। তিনি বলেছেন এই রাজ্য কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা পায়। কেন্দ্রীয় সরকার কাজ করিয়ে টাকা দেয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন বাংলাক বকেয়া টাকার জন্য তিনি একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আবেদন করেছেন। কলকাতা সফরে আসা আমিত শাহের কাছেও তিনি বকেয়া টাকার জন্য তদবির করেছিলেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও লাভ হয়নি। তাই কার্যত বাধ্য হয়েই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ধর্নায় বসছেন বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বর্তমানে রাহুল গান্ধী ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেস পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেসের। কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে শুরু হয়েছে। যদিও দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা শীর্ষস্থানীয় তৃণমূল নেতারা বিজেপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে সমদূরত্ব বজায় রাখার নীতি গ্রহণ করেছিলেন। তারপরেই কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। এবার দেখার তৃণমূলের এই কেন্দ্র বিরোধী আন্দোলনে কংগ্রেস ঘাসফুল শিবিরের পাশে থাকে কিনা।