কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার তদন্ত রিপোর্টে বেআব্রু রেল, ছবিতে দেখুন কী কী কারণে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট জমা দিল রেলওয়ে সেফটি কমিশনার। প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে রেলের পরিচালন ব্যবস্থাতেই বড় গলদ রয়েছে। তাতেই এই দুর্ঘটনা।
Saborni Mitra | Published : Jul 16, 2024 10:35 AM IST
রেলের রিপোর্ট
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা নিয়ে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য সুরক্ষা কমিশনার জনককুমার গর্গ রেল বোর্ডের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। সেখানেই বলা হয়েছে, রেলের সামগ্রিক পরিচালন ব্যবস্থাতেই গলদ রয়েছে।
রিপোর্টে দাবি
রিপোর্টে একই সঙ্গে দাবি করা হয়েছে, ট্রেন পরিচালন ব্যবস্থায় গলদ থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
রেলের অব্যবস্থা
রিপোর্টে ফুটে উঠেছে রেলের অব্যবস্থা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থায় ট্রেন চালানোর মত উপযুক্ত প্রশিক্ষণের অভাব ছিল ট্রেন চালকের। ট্রেন ম্যানেজার ও স্টেশন মাস্টারেরও প্রশিক্ষণের অভাব ছিল। তাই এই বড় দুর্ঘটনা।
মালগাড়ি চালকের মেমোয় গলদ
মালগাড়ির চালক নির্দিষ্ট গতিতে গাড়ি ছুটিয়েছিলেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে রিপোর্টে। বলা হয়েছে মালগাড়ির চালককে দেওয়া কাগুজে অনুমতিপত্রে (মেমো)য় নির্দিষ্ট গতির কথা উল্লেখই করা হয়নি।
নিয়ম মানা হয়নি
স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা খারাপ থাকলে যে পদ্ধতিতে ট্রেন চলানো উচিত, তা মানা হয়নি।
নির্দিষ্ট ফর্ম নিয়েও প্রশ্ন
নির্দিষ্ট যে ফর্মে ট্রেন চালানোর অনুমতি দেওয়া হয় চালক এবং ট্রেন ম্যানেজার (গার্ড)-দের, রাঙাপানির স্টেশন মাস্টার, তা দেননি বলেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
বেআব্রু রেল পরিষেবা
সঠিক নিয়ম না-জানার কারণেই এমনটা হয়েছে বলে সুরক্ষা কমিশনার তাঁর রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন।
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা
গত ১৭ জুন উত্তরবঙ্গের নিজবাড়ি ও রাঙাপানি স্টেশনের মাধে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। যে লাইন দিয়ে ওই এক্সপ্রেস ট্রেনটি চলছিল সেই লাইনে পিছন থেকে আসা একটি মালগাড়ি ধাক্কা মারে। তাতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছিল ৫০ জন।
সিগন্যাল খারাপ
সেই সময়ই রেলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সিগন্যাল খারাপ ছিল। তাই হাতে লেখা ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল।
ওয়াকিটকি ব্যবহার ছিল না
রিপোর্টে রেলের একাধিক গাফিলতির কথা বলা হয়েছে। সেখানেই জনককুমার জানিয়েছেন, মালগাড়ির চালক ও গার্ডের কাছে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করার জন্য কোনও ‘ওয়াকিটকি’র ব্যবস্থা করেনি রেল। তবে রেলের দেওয়া মোবাইল ফোন ছিল।
মাত্র ২ বার কথা
মালগাড়ির চালক এবং গার্ডের মধ্যে শেষ কথা হয়েছে দুর্ঘটনার অন্তত আধ ঘণ্টা আগে। সেটাও দু’বার। তবে কী নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছিল, সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।
মালগাড়ি চালকের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন
রাঙাপানি স্টেশনে প্রায় ৩০ মিনিট মালগাড়িটি দাঁড়িয়ে থাকলেও কেন স্টেশন মাস্টারকে ফোন করে দাঁড় করিয়ে রাখার কারণ জিজ্ঞেস করেননি গার্ড।
বিশ্রাম
ট্রেন চালকরা যথাযথ বিশ্রাম পায় না- ট্রেন দুর্ঘটনার পর এই অভিযোগও উঠেছিল। কিন্তু রিপোর্টে বলা হয়েছে দুই চালকই যাথযথ বিশ্রাম পেয়েছিল। কাঞ্চনজঙ্ঘার চালক ৪০ ঘণ্টা আর মালগাড়ির চালক ৩০ ঘণ্টা বিশ্রাম পেয়েছিল।