বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছেন আন্দোলনকারীরা। এই পরিস্থিতিতে যোগ্য প্রার্থীরা দ্রুত যাতে চাকরি পান সেই বার্তাই দিচ্ছেন তাঁরা।
২৬৩ দিনের আন্দোলনের পর কিছুটা স্বস্তি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাই কোর্টের রায় ঘিরে উচ্ছ্বাস ধর্মতলায় আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছেন আন্দোলনকারীরা। এই পরিস্থিতিতে যোগ্য প্রার্থীরা দ্রুত যাতে চাকরি পান সেই বার্তাই দিচ্ছেন তাঁরা। শুক্রবার বিকেলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায় প্রসঙ্গে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, অপ্রশিক্ষিতদের চাকরি বাতিল হওয়ায় খুশি তাঁরা। টাকার জোড়ে অপ্রশিক্ষিতদের চাকরি দেওয়া হয়েছিল। প্রশিক্ষিতরা যাঁরা এখনও নিয়োগ পাননি তাঁদের নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড় পদক্ষেপ। ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই ৩৬ হাজার শিক্ষককে অপ্রশিক্ষিত বলে উল্লেখ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তবে আদালতের রায় অনুযায়ী আগামী ৩ মাস এই শিক্ষকরা স্কুলে যেতে পারবেন। প্যারা টিচার হিসেবে বেতন। এই তিন মাসের মধ্যে রাজ্যকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। তবে যাঁদের চাকরি গিয়েছে তাঁরাও ইতিমধ্যে যদি প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন তাহলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন বলেও জানালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
সম্প্রতি আদলতের নির্দেশে প্রকাশ করা হয়েছিল নম্বর বিভাজন তালিকা। সেই তালিকায় দেখা যায় কম নম্বর পেয়ে বহু অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী সুপারিশপত্র পেয়েছেন। এই ঘটনার পরি গোটা প্যানেল বাতিল করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ার গোটা প্যানেল বাতিল করে দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেওয়ার অভিযোগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা থেকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে সরানো নিয়ে একটি নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর থেকেই একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে। এই প্রসঙ্গে এশিয়ানেট নিউজ বাংলার পক্ষ থেকে আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্পষ্টই জানান এই তথ্য পুরোপুরি ঠিক নয়। তিনি বলেন,'শুধুমাত্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সংক্রান্ত মামলাটি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাকি মামলাগুলি যেমন চলছিল চলবে।' তিনি আরও বলেন,'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর থেকে রক্ষাকবচ তুলে নেওয়া হয়েছে। সিবিআই চাইলে যে কোনও মুহূর্তে গ্রেফতার করতে পারবে তাঁকে। অর্থাৎ যদি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়, তবে শুধুমাত্র সেই মামলার শুনতে পারবেন না বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।' আইনজীবী জানিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত কমপক্ষে ২২টি মামলা চলছে। সেগুলিতে এই রায়ের কোনও প্রভাব পড়বে না।