আগেই একাধিক সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ইউনেস্কো থেকে হেরিটেট ট্যাগ পেতে পারে বলেও প্রতিবেদনে জানান হয়েছিলে
প্রবল বিতর্কের মধ্যেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের তৈরি শান্তিনিকেতনের মুকুটে আরও একটি পালক। ইউনেস্কো (UNESCO ) রবিবার শান্তিনিকেতনকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকাভুক্ত করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইনেস্কোর পাশাপাশি এই খবর জানিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।
আগেই একাধিক সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ইউনেস্কো থেকে হেরিটেট ট্যাগ পেতে পারে বলেও প্রতিবেদনে জানান হয়েছিলে। বিশ্বভারতীয় একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় , যা এখনও চালু রয়েছে, তাকেই ইউনেস্কো বিশ্ব হেরিটেজের তকমা দিল। ইউনেস্কোর এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
ইউনেস্কোর স্যোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে জানান হয়েছে, নতুন শিলালিপি। ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় এবার নাম উঠেছে শান্তিনিকেতনের। এরজন্য সংস্থার পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে জানান হয়েছে, বাংলার জন্য গর্বের মুহূর্ত। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি শান্তিনিকেতন এবার গুরুত্বপূর্ণ তকমা পেয়েছে। এটি অত্যান্ত গর্বের যে নোবেল বিজয়ীর গভীর সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক অবদানের প্রমাণ হয়েছে দাঁড়িয়েছে। আগামী প্রজন্মের জন্য এই রক্ষা করার প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
শান্তিনিকেতন- শান্তির আবাস। একটা সময় এর নাম ছিল ভূবনডাঙা। বাল্যবয়স থেকেই কবি এই এলাকার সঙ্গে পরিচিত। তাঁর বাবার সঙ্গে সেখানে গিয়ে থাকতেন। অত্যান্ত প্রিয় জায়গা ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। পরবর্তীকালে এই এখানেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। শিক্ষা নিয়ে নিজের চিন্তাভাবনাকে রূপ দেওয়ার জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। ব্রাহ্ম ধর্মের অনেকেই পরবর্তীকালে শান্তিনিকেতনের আবাসিক হয়ে যান।
মে মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিশান রেড্ডি মে মাসেই ইউনেস্কোর কাছে শান্তিনিকেতনকে বিশ্ব হেরিটেজের তকমা দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। তিনিও সোশ্যাল মিডিয়া গোটা বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন। ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অন মনুমেন্টস অ্যান্ড সাইটস (ICOMOS) হল একটি ফ্রান্স-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা যা বিশ্বব্যাপী স্থাপত্য ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং বর্ধনের জন্য নিবেদিত।