আবারও সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলা। গত ১৬ জুলাই এই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল ২১ দিনের জন্য। সেই সময় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল এই মামলায় যুক্ত সবপক্ষের বক্তব্য তারা শুনবে। সেই কারণে এই মামলায় আরও একাধিক পক্ষের বক্তব্য শুনে তারপরই এই মামলায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। সেই সময় এই মামলার শুনানি হওয়া কছা ছিল আজ, ৬ অগাস্ট। কিন্তু শেষপর্যন্ত সময়ের অভাবে আবারও পিছিয়ে যায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলা।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চেই চলছি এসএসসি মামলা। লোকসভা ভোটের আগে এই মামলায় অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল বেঞ্চ। যোগ্য ও অযোগ্যদের বাছাই পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। সোমবার বিস্তারিত শুনানি হওয়ার কথা বলেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেই মামলাই সুপ্রিম কোর্ট শুনবে মঙ্গলবার।
মঙ্গলবারও বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই বেঞ্চ অন্য মামলায় ব্যস্ত থাকায় শেষ পর্যন্ত শুনানি হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়, আগামী ১৩ অগস্ট ওই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশনের বেঞ্চের রায়ের কারণে এক ধাক্কায় চাকরি গিয়েছে ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষকের। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার, মধ্য শিক্ষা পর্ষদ ও এসএসসি। চারকিহারাদের একাংশও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। এসএসসির চাকরি বাতিল সংক্রান্ত ১০টি মামলা একত্রে শুনানির কথা ছিল সোমবার। আগের শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল , ৮ হাজার নিয়োগ বেআইনি হয়েছে। তাহলে কেন ২৩ হাজারের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। পাল্টা প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির। তিনি বলেন, বেআইনিভাবে নিয়োগ হয়েছে। এমন অভিযোগ জানানোর পরেও কীভাবে সুপার নিউমেরিক পোস্টের অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা। কেন সুপার নিউমেরিক পোস্ট বা বাড়তি পদ তৈরি করা হয়েছে। যদিও সেই সময়ই সুপ্রিম কোর্টে মন্ত্রিসভার সদস্যদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের ওপর অন্তবর্তী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।