এসএসসি মামলায় রাজ্যকে কিছুটা স্বস্তি দিলেও পুরোপুরি স্বস্তি দিল না সুপ্রিম কোর্ট। সুপার নিউমেরিক পদ তৈরি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যথেষ্ট অস্বস্তি প্রকাশ করেছে।
এসএসসি মামলায় রাজ্যকে কিছুটা স্বস্তি দিলেও পুরোপুরি স্বস্তি দিল না সুপ্রিম কোর্ট। সুপার নিউমেরিক পদ তৈরি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যথেষ্ট অস্বস্তি প্রকাশ করেছে। তবে হাইকোর্টের বাকি রায়ের ওপর এখনও স্থগিতাদের দেয়নি শীর্ষ আদালত। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার।
হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও চাকরিহারাদের একাংশ। মামলাটি ওঠে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে। এই বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্র। শুনানির সময়ই প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন প্যানেলের বাইরে নিয়োগ করা হয়েছে এটা তো সম্পূর্ণরূপে জালিয়াতি। তবে সওয়াল জবাবের সময় এসএসসির আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী বলেন., ৮ হাজার নিয়োগ বেআইনি হয়েছে। তাহলে কেন ২৩ হাজারের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। পাল্টা প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির। তিনি বলেন, বেআইনিভাবে নিয়োগ হয়েছে। এমন অভিযোগ জানানোর পরেও কীভাবে সুপার নিউমেরিক পোস্টের অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা। কেন সুপার নিউমেরিক পোস্ট বা বাড়তি পদ তৈরি করা হয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এসএসসি নিয়োদ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রয়োজনে মন্ত্রিসভাকর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে সিবিআই। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের সেই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যের আইনজীবি এদিন আদালতে সওয়াল করেন, বর্তমানে নির্বাচন চলছে। এই সময় সিবিআই তদন্ত করলে মন্ত্রিসভার জেলে যাওযার আশঙ্কা রয়েছে। তাই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করা সম্ভব নয়। মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে তদন্তের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশেরও আবেদন জানান রাজ্যের আইনজীবী। তারপরই বাড়তি পদ তৈরি নিয়ে তদন্তে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
সবিস্তারে আসছে...