রাজ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা পার করল ২০০-র গন্ডি। যার বেশিরভাগ-ই কলকাতায়। আগামী কয়েক সপ্তাহে কোভিড সংক্রমণের এই গ্রাফ আরও ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত এক বছরে সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ দেখা দিল বাংলায়। যাদের কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাদের জন্য এটা উদ্বেগের। প্রায় এক বছর মত সময় রাজ্যে দৈনিক কোভিড সংক্রমণ ছিল দশের নীচে। গত ডিসেম্বরের ২৮ তারিখ রাজ্যে দৈনিক কোভিড সংক্রমণ ফের দশের গন্ডি পার করে। নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হন ১৪ জন। তারপর থেকে রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ দশের আশপাশেই ছিল। বুধবার একলাফে সেই সংখ্যাটা পৌঁছে যায় ২৭-এ। যার ফলে রাজ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২১৩।
ফলে রাজ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা পার করল ২০০-র গন্ডি। যার বেশিরভাগ-ই কলকাতায়। আগামী কয়েক সপ্তাহে কোভিড সংক্রমণের এই গ্রাফ আরও ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে, একই রকম পরিস্থিতি দেশেও। ফের আতঙ্ক দেখাতে শুরু করেছে করোনা। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতে, আজ ভারতে কোভিডের ৬০৯টি নতুন কেস নথিভুক্ত করা হয়েছে, যখন সংক্রমণের সক্রিয় মামলার সংখ্যা কমে ৩,৩৬৮ হয়েছে।
সকাল ৮টায় দেওয়া মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দুজন কেরালার এবং একজন কর্ণাটকের। উল্লেখ্য, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ নাগাদ, দৈনিক মামলার সংখ্যা দুই অঙ্কে নেমে এসেছিল, তবে একটি নতুন রূপের আবির্ভাব এবং ঠান্ডা আবহাওয়ার পরে, করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে।
হোম আইসোলেশনে সুস্থ হয়ে উঠছেন মানুষ
বেশিরভাগ সক্রিয় ক্ষেত্রে (৯২ শতাংশ) হোম আইসোলেশনের সময় সুস্থ হয়ে উঠছেন। সরকারী সূত্রের মতে, বর্তমানে তথ্য দেখায় যে JN.1 ভেরিয়েন্টটি নতুন ক্ষেত্রে দ্রুত বৃদ্ধি বা হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুহার বৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাচ্ছে না।
ডেল্টা ওয়েভের সময় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে
উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত দেশে কোভিডের ৩টি তরঙ্গ দেখা গেছে। এর মধ্যে, ২০২১ সালের এপ্রিল-জুন মাসে ডেল্টা ওয়েভের সময় দৈনিক মামলা এবং মৃত্যুর ঘটনা স্তরে ছিল। তৃতীয় তরঙ্গের সময়, মে মাসে ৪ লাখ ১৪ হাজার ১৮৮ নতুন কেস এবং ৩ হাজার ৯১৫ জনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। করোনার শুরু থেকে এ পর্যন্ত সারাদেশে সাড়ে চার কোটিরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। ৫.৩ লাখের বেশি মানুষ মারা গেছে।
২ বিলিয়নেরও বেশি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল
মন্ত্রকের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, এই রোগ থেকে সেরে ওঠার সংখ্যা ৪.৪ কোটির বেশি। দেশে কোভিড ভ্যাকসিনের ২২০.৬৭ কোটি ডোজ দেওয়া হয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।