সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অধ্যাপক শিবাজী প্রতীম বসু বিষয়টি নিয়ে একটি পোস্ট করেন। যেখানে যাদবপুর বিশ্বাবিদ্যালয় সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এই পোস্টে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন আরেক শিক্ষাবিদ তথা রাজনীতিবিদ ওমপ্রকাশ মিশ্র।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করতে সার্চ কমিটি সংক্রান্ত সংশোধনী বিল পাশ হল বিধানসভায়। শুক্রবার বিধানসভায় ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি ল (সংশোধনী) বিল ২০২৩’ পাশ হল ১২০-৫১ ভোটে। বিলটি পাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে অধিবেশন থেকে বেরিয়ে এই বিলের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়কেরা। বিধানসভায় পাশ হওয়ার পর ওই বিলে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস স্বাক্ষর করলেই তা আইনে পরিণত হবে।
এরপরেই রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন শিক্ষাবিদরা। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অধ্যাপক শিবাজী প্রতীম বসু বিষয়টি নিয়ে একটি পোস্ট করেন। যেখানে যাদবপুর বিশ্বাবিদ্যালয় সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এই পোস্টে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন আরেক শিক্ষাবিদ তথা রাজনীতিবিদ ওমপ্রকাশ মিশ্র। তিনি বলেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাবিদদের ফোরামের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে যে অধ্যাপকদের যেমন ইচ্ছে নিয়োগ ও পদত্যাগে বাধ্য করার ঘটনা রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে নড়িয়ে দেবে। উপাচার্যদের এই ক্ষমতার অপব্যবহারের ফলে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা ব্যাবস্থা সম্পূর্ণ রূপে ভিত হারাবে।
উল্লেখ্য, গত মে মাসে সার্চ কমিটি গঠনে পরিবর্তন এনে অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট এবং কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে কমিটিতে আনা হয় ইউজিসি চেয়ারম্যানের প্রতিনিধিকে। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর এক জন প্রতিনিধিকেও আনা হয় কমিটিতে। আচার্য তথা রাজ্যপাল মনোনীত সদস্যকে কমিটির চেয়ারম্যান করা হবে। এ ছাড়া নতুন বিলের নিদান অনুযায়ী, ওই কমিটিতে থাকবেন সরকার এবং উচ্চ শিক্ষা সংসদের মনোনীত এক জন করে প্রতিনিধি। পাঁচ সদস্যের কমিটি থেকে বাদ পড়েন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট বা কোর্টের (প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক সংস্থা) সদস্যেরা।
রাজ্যের ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য বাছাইয়ে সার্চ কমিটি গঠন সংক্রান্ত নিয়ম পরিবর্তনের জন্যই বিধানসভায় এই বিল আনা হয়েছে। কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রীর মনোনীত প্রতিনিধি রাখা নিয়ে বিরোধীরা আপত্তি করেন। উল্লেখ্য, কলকাতা সহ রাজ্যের ৩১ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য বাছাইয়ে সার্চ কমিটি গঠন নিয়ে আগেই অর্ডিন্যান্স জারি হয়েছিল। এবার সেই অর্ডিন্যান্সকে আইনি স্বীকৃতি দিতে রাজ্য বিধানসভায় এই বিল আনা হয়। এতে বলা হয়েছে, কোনও উপাচার্যের ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পর নতুন উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত, তিনিই পরবর্তি উপাচার্য হিসেবে এক বছর কাজ চালাতে পারবেন। বর্তমান আইনে ছয় মাস পর্যন্ত তাঁকে কাজ করার সুযোগ দেওয়া রয়েছে। বিলে আরও বলা হয়েছে, সার্চ কমিটি গঠন করতে হবে পাঁচ সদস্যকে নিয়ে। আগে সার্চ কমিটিতে তিন জন সদস্য ছিল। নয়া বিলে আরও বলা হয়েছে, সার্চ কমিটি উপাচার্য পদে তিন থেকে পাঁচ জনের নাম সুপারিশ করতে পারবে।