হুগলির তারকেশ্বরের মহিলাদের পরিচালিত এক পুজো কমিটির এই সিদ্ধান্তে যেন আরও জোর বাড়ল শহর-রাজ্য-দেশ জুড়ে চলা আন্দোলনের। কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগে বিচার, তারপর অনুদান।
লাগবে না টাকা। লাগবে না কোনও অনুদান। দাবি একটাই আরজি করে কর্মরত তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার বিচার চাই। এই দাবিকে সামনে রেখে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুজো অনুদানের টাকা থেকে মুখ ফেরাল মহিলা পুজো কমিটি।
হুগলির তারকেশ্বরের মহিলাদের পরিচালিত এক পুজো কমিটির এই সিদ্ধান্তে যেন আরও জোর বাড়ল শহর-রাজ্য-দেশ জুড়ে চলা আন্দোলনের। কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগে বিচার, তারপর অনুদান। আরজি করের প্রতিবাদের জেরে এই নিয়ে রাজ্যের তৃতীয় পুজো কমিটি যারা সরকারি অনুদান না নেওয়ার কথা ঘোষণা করল।
পাঁচ বছর আগে থেকে পুজো শুরু করেছে এই গ্রামের মহিলারা। সরকারি অনুদানের জন্য আবেদনও করেছিলেন। সম্প্রতি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্যের ৪৩ হাজার পুজো কমিটিকে এই বছর ৮৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। পরের বছর অনুদান হবে এক লক্ষ টাকা। এই ৪৩ হাজার পুজো কমিটির মধ্যে মহিলা দ্বারা পরিচালিত পুজোর সংখ্যা প্রায় ২৫০০।
কলকাতার হাইল্যান্ড পার্ক পুজো কমিটি ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, তারা সরকারি টাকা নেবে না। বরং ওই টাকা নারী নিরাপত্তার কাজে ব্যবহার করা হোক বলেও সরকারকে জানানো হয়েছে। হুগলির উত্তরপাড়ার শক্তি সংঘের তরফেই প্রথম রাজ্যের পুজো অনুদান নেওয়ার কথা অস্বীকার করা হয়েছিল। আস্তারা গ্রামের মা শরদজননী দুর্গোৎসব পুজো কমিটির রুমা ধাড়া জানিয়েছেন, আগে ডাক্তার খুনের বিচার হবে, তারপর তারা সরকারের থেকে অনুদান গ্রহণ করবেন।
উল্লেখ্য আরজি করের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। দফায় দফায় রাজ্য জুড়ে চলছে বিক্ষোভ প্রতিবাদ। ইতিমধ্যেই ঘটনার সূত্র ধরে সঞ্জয় নামের এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওদিকে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। আর তারপরই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছেন গোয়েন্দারা। এদিকে আরজি কর মামলা গিয়ে পৌঁছেছে সুপ্রিম কোর্টে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।