'এবার একসঙ্গে চাকরি যেতে চলেছে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের!' মামলার শুনানির তারিখ কবে?
স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। চাকরি হারানোর পরে এবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির ঝুলে থাকার মামলা যাতে দ্রুত শুনানি করানো যায় সেই বিষয় উদ্যোগ নিয়েছেন মামলাকারীরা।
দীর্ঘদিন ধরে আটকে রয়েছে বিচার প্রক্রিয়া। এরফলে চরম অমিশ্চয়তায় দিন কাটছে চাকপ্রার্থীদের। প্রাথমিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে।
এই মামলায় ২০১৬ সালে ৩২ হাজার শিক্ষকের নিয়োগকে বেআইনি ঘোষণা করে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছিল সিঙ্গেল বেঞ্চ। এবার এই রায়কে চ্যালেঞ্চ করেই ফের আপল করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের নিয়ে ২০১৬ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। এবং চাকরি পেয়েছিল প্রায় ৪৩ হাজার চাকরি প্রার্থী। তবে এই নিয়োগ নিয়ে একাধিক অনিয়ম ত্রটির অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। একাধিক ত্রুটি দেখতে পাওয়ার কারণে ২০২৩ সালের ১২ মে ৩২ হাজার শিক্ষককে বরখাস্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি।
এ ছাড়াও হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে বিচারাধীন রয়েছে আরও একটি মামলা। ২০১৪ সালের টেটের ওএমআর শিট নষ্ট করে ফেলার অভিযোগে করা হয় এই মামলা। আইনজীবীদের মতে, ২০২৩-এর পরে এই মামলার কোনও উল্লেখযোগ্য শুনানি এখনও পর্যন্ত হয়নি।
এই প্রসঙ্গে মামলার অন্যতম আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত জানান, ২০১৪ সালের টেটের ফলাফলের উপর ভিত্তি করেই পরবর্তীকালে সমস্ত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। ফলে এই মামলায় প্রায় ৬০ হরাজার শিক্ষকের চাকরির ভাগ্য নির্ধারণ করবে। আমরা যত দ্রুত পারব এই মামলার শুনানির জন্য আদালতে আবেদন করব।"