বিজেপি বিরোধী দলগুলির সঙ্গে একের পর এক জরুরি বৈঠকে বসছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তৃতীয় মোর্চা-র জন্য যতটা শক্তি দরকার, তার কতটা আয়ত্ত্বে আনতে পারবেন মমতা?
কলকাতায় বৈঠক করেছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের সঙ্গে। তারপরেই চলে গিয়েছেন ওড়িশা। সেখানে বিজেপি ও কংগ্রেস, উভয়ের সঙ্গেই দূরত্ব রেখে চলা বিজেডি নেতা নবীন পট্টনায়কের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে জোরদার। এবার বিজেপি-বিরোধী আরেক নেতার সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা বিজেপির বিরুদ্ধে অত্যন্ত পরিচিত শক্তিশালী মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার বিকেলে কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডি (এস) নেতা এইচ ডি কুমারাস্বামী নিজে পদার্পণ করতে চলেছেন কলকাতার কালীঘাটে। একই দিনে তার কয়েক ঘণ্টা আগেই বীরভূমের জেলা কমিটি সম্পর্কে একটি দলীয় বৈঠকে বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে অনুব্রত-হীন বীরভূমে তৃণমূলের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবেন দলের সুপ্রিমো। এরপরেই একই জায়গায় দ্বিতীয় বৈঠক হবে এইচ ডি কুমারাস্বামীর সঙ্গে।
কুমারাস্বামী হলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়ার পুত্র। আগামী এপ্রিল মাসে কর্ণাটকে যে বিধানসভা ভোট রয়েছে, তাতে জোরদার টক্কর দিচ্ছে তাঁর দল জনতা দল (সেক্যুলার)। সেই নির্বাচনের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থন চাইতে পারেন তিনি। তার ওপর ২০২৪ সালে রয়েছে লোকসভা ভোট। সেই উদ্দেশ্যে বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলি এককাট্টা হয়ে পর্যুদস্ত করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রের দীর্ঘকালীন শাসকদল বিজেপিকে। সেক্ষেত্রেও তৃণমূলের সঙ্গে বাকি বিরোধী দলগুলির হাত মেলানো জরুরি। ২০১৯ সালের ১৯ জানুয়ারি কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে তৃণমূলের ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া’-র স্লোগান দিয়ে যে সমাবেশ হয়েছিল, তাতে উপস্থিত ছিলেন এইচ ডি কুমারাস্বামী। তার প্রায় ৪ বছর পর ২০২৩-এ আবার তিনি পদার্পণ করতে চলেছেন বাংলায়।
আরও পড়ুন-
প্রেমিকের সামনেই প্রেমিকাকে গণধর্ষণ, মহারাষ্ট্রের পালঘরে ২৫ বছর বয়সী তরুণদের পৈশাচিক কাণ্ড
বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডল না থাকায় দায়িত্ব পড়বে কার হাতে? জরুরি বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়