
ফের উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম। কলেজে হেল্প ডেস্ক খোলা নিয়ে সংঘর্ষে জড়াল দুই ছাত্র সংগঠন।
উচ্চমাধ্যমিকের (High Secondary) পর এবার কলেজে ভর্তির পালা। রেজাল্ট বেরোনোর পর কেটে গেছে অনেকটা সময়। ইতিমধ্যেই স্নাতকস্তরে ভর্তির জন্য শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে সেন্ট্রাল পোর্টাল চালু করা হয়েছে। গত বুধবার, এই পোর্টালটির উদ্বোধন করেন রাজ্যের (West Bengal) শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। আগামী ২৪ জুন থেকে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন সমস্ত কলেজ পড়ুয়ারা। দেশ কিংবা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পড়ুয়ারা আগামী ৭ জুলাই পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন এই পোর্টালে।
আর এবার কলেজে ভর্তি হতে আসা পড়ুয়াদের সাহায্য করার জন্য কে খুলবে হেল্প ডেস্ক, সেই নিয়েই বচসায় জড়িয়ে পড়ল দুই পক্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে নন্দীগ্রামের (Nandigram) সীতানন্দ কলেজে। মূল অভিযোগ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। জানা যাচ্ছে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা এবং ছাত্ররা মিলে ওই কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই একটি হেল্প ডেস্ক (Help Desk) চালু করেন।
সেই নিয়েই বচসা শুরু হয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) এবং বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) মধ্যে। এবিভিপির দাবি, দীর্ঘদিন কলেজে কোনও নির্বাচন হয়নি। অর্থাৎ নিয়মানুযায়ী, এইমুহূর্তে কলেজে কোনও ছাত্র সংসদ বা ইউনিয়ন নেই। তাহলে কীভাবে এই হেল্প ডেস্ক টিএমসিপি করতে পারে।
এবিভিপি জানায়, যেখানে নির্বাচনই হয়নি সেখানে কোনও রাজনৈতিক দলের হেল্প ডেস্ক, ফ্ল্যাগ কিংবা ফেস্টুন রাখা যাবেনা কলেজ চত্বরে। যদি তৃণমূল ছাত্র সংগঠন হেল্প ডেস্ক খোলে, তাহলে এবিভিপিও খুলবে। এই নিয়েই শুরু হয়ে যায় বচসা। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছয় যে, ফ্ল্যাগ বাঁধা এবং হেল্প ডেস্ক খোলা নিয়ে রীতিমতো সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। টিএমসিপি এবং এবিভিপি কার্যত হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে।
দুই সংগঠনই প্রথমে কলেজের প্রিন্সিপালের কাছে অভিযোগ জানাতে যায়। কিন্তু ফিরে এসেই দুই সংগঠনের মধ্যে শুরু হয়ে যায় ব্যাপক মারপিট এবং সংঘর্ষ। পরিস্থিতি ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং গোটা কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
তারপর ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ। এরপর পরিস্থিতি আয়ত্তের মধ্যে আসে।
আরও পড়ুনঃ
গরমের মধ্যে চরম ভোগান্তি! হাওড়ার ৫০টি ওয়ার্ডে ১৮ ঘণ্টা বন্ধ জল সরবরাহ
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।