লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে দায়িত্ব থেকে রাজীব কুমারকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। পাশারাশি রাজ্য সরকারের কাছ থেকে বিকল্প হিসেবে তিনটি নাম চেয়েছিল
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের পর রাজ্য পুলিশের ডিজির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় রাজীব কুমারকে। আর তাঁর জায়গায় বসানো হল বিবেক সহায়কে। যার অর্থ রাজ্যপুলিশের পরবর্তী ডিজি হচ্ছেন বিবেক সহায়।
লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে দায়িত্ব থেকে রাজীব কুমারকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। পাশারাশি রাজ্য সরকারের কাছ থেকে বিকল্প হিসেবে তিনটি নাম চেয়েছিল। রাজ্য সরকারই তিনটি নাম জমা দিয়েছিল। সেই তালিকা থেকে বেছে নেওয়া হয় প্রথম নাম বিবেক সহায়। তাকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়।
নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর রাজীব কুমারকে ২০১৬ সালের বিধানসভা ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও সক্রিয়ভাবে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর সেই কারণেই এবারও সরিয়ে দেওয়া হল বলে সূত্রের খবর।
১৯৮৮ সালের ব্যাচের আইপিএস অফিসার বিবেক সহায়। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন। সেই সয়ই মমতা নন্দীগ্রামে পায়ে চোট পেয়েছিলেন। গত নভেম্বর বিবেক সহায়কে ডিজি হোমগার্ডের পদে নিয়ো করা হয়েছিল। রাজ্যের পাঠান তালিকায় আরও যে দুজনের নাম রয়েছে তারা হলেন, আইপিএস অফিসার সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় ও রাজেশ কুমার। সঞ্জয় দমকলের ডিজি। আর রাজেশ রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পরিষদের প্রধান। অন্যদিকে রাজ্য পুলিশের ডিজির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরে তাঁকে পাঠান হচ্ছে রাজ্যের ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব পদে।
গত ডিসেম্বর মাসেই রাজ্যে পুলিশের প্রধান হিসেবে ডিরেক্টর জেনারেলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল রাজীব কুমারকে। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন আচরণবিধি লাগু হতেই রাজীব কুমারকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশিকা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। একটা সময় কলকাতা পুলিশ কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন রাজীব কুমার। সেই সময়ও তাঁকে নিয়ে প্রচুর বিতর্ক হয়েছিল। পাশাপাশি সারদা চিটফান্ডের তদন্তেরও দায়িত্ব ভার ছিল তাঁর হাতে। তাঁর তদন্তের রির্পোট ও নথিপত্র জমা দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল সিবিআই।