রাজ্যে শিল্পবিকাশের উপযোগী পরিবেশ ও মানসিকতা, দুটোই রয়েছে বলে মনে করে প্রশাসন। শিল্পসাথী পোর্টাল সহজতর করার মাধ্যমে আবারও শিল্পবান্ধব মানসিকতার পরিচয় দিল রাজ্য সরকার।
শিল্পের জন্য জমি পাওয়ার রাস্তা এবার থেকে আরও সহজ করে দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। একই জায়গা থেকে শিল্প সংস্থাগুলির বিভিন্ন রকমের ছাড়পত্র দেওয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল শিল্পসাথী পোর্টাল, এবার সেই পোর্টালটি আরও সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। আগামী ২ মাসের মধ্যে আরও উন্নত সুযোগ-সুবিধা যোগ হয়ে এই পোর্টালটি চালু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা।
জানা গেছে, রাজ্য সরকারের নতুন এই পোর্টালটি সপ্তাহে সাতদিন ২৪ ঘণ্টা ধরে কাজ করবে। কলকাতায় আয়োজিত এক বাণিজ্যিক সভার অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাংলার শিল্প পরিকাঠামোর মানোন্নয়নে রাজ্য সরকার একটি পৃথক নীতির পরিকল্পনা করছে। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই খরচ কমাতে বহুমুখী পরিবহণ পরিকাঠামো নীতি চালু করেছে। এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারও একটি নিজস্ব নীতি তৈরির কথা চিন্তাভাবনা করে এগোতে চাইছে।
ইতিমধ্যেই সিঙ্গল উইন্ডো সিস্টেম চালুর করে দিয়ে অতি দ্রুত জমি পাইয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য। আগে রাজ্যে শিল্পের জন্য জমি পেতে অন্তত ২টি ধাপে আবেদন করার পর অনুমোদন পাওয়া যেত। এই পদ্ধতিতে বেশ খানিকটা সময় পেরিয়ে যেত। ছোট ও মাঝারি শিল্প এবং বড় শিল্পের জন্য পৃথক জায়গায় দরখাস্ত করতে হত। এমনকী শিল্পের কোনও পরিকাঠামো সংক্রান্ত আবেদনও করতে হত অন্যত্র। তা ধাপে ধাপে অনুমোদনের পর কাজের স্তরে পৌঁছতে অনেকটাই সময় লেগে যেত।
বাংলার শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা এবার জানালেন, সরকারের কাছে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বড় বা ছোট শিল্পের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ নেই। উভয় ধরনের শিল্পের বিনিয়োগকারীদের একই রকম ভাবে সুযোগ-সুবিধা দিতে প্রস্তুত রাজ্য। তাঁদের সমস্যা মেটাতেও শিল্প দফতর একই ধরনের তৎপরতা দেখাবে। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহুবার বলেছিলেন যে, শিল্পের জন্য আগ্রহীদের জমি দান এবং অন্যান্য বিষয়ে লাল ফিতের ফাঁস আলগা করতে হবে। সহজে, দ্রুততার সঙ্গে তাঁদের চাহিদা পূরণ করে দিতে হবে। সেই নির্দেশ মেনে আগেই খানিকটা গতি এসেছিল সহজ করার পদ্ধতিতে। তবে এবার ‘সিঙ্গল উইন্ডো সিস্টেম’ চালু হওয়ায় প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই গোটা পদ্ধতি সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যে শিল্পবিকাশের উপযোগী পরিবেশ ও মানসিকতা, দুটোই রয়েছে বলে মনে করে প্রশাসন। সেই বক্তব্য বারবারই প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে বিনিয়োগ টানতে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনই এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ বলে দাবি করা হয় শাসকদলের পক্ষ থেকে। শিল্পসাথী পোর্টাল সহজতর করার মাধ্যমে আবারও শিল্পবান্ধব মানসিকতার পরিচয় দিল রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন-
একের পর এক কর্মসূচি বাতিল, গুজরাটের সেতু বিপর্যয়ের প্রাণহানির কারণে ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’-তে শোকস্তব্ধ নরেন্দ্র মোদী
‘স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে গিয়ে আমেরিকা থেকে চোখের চিকিৎসা করিয়ে এসেছেন’, অভিষেককে নিশানা শুভেন্দুর
রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিয়ারনেস অ্যালাওয়েন্সের ঘোষণা চলতি সপ্তাহেই? নবান্ন সূত্রে বড় খবর