গভীর নিম্নচাপের প্রভাব ওড়িশায়, তাহলে কি রক্ষা পাবে বাংলা?

১৪ তারিখে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা । ১৩ তারিখ থেকে চলবে দমকা হাওয়া। আবহাওয়ার আর কী কী পূর্বাভাস দিচ্ছে আলিপুর হাওয়া অফিস?

Sahely Sen | / Updated: Aug 12 2022, 08:27 PM IST

চলতি সপ্তাহের নিম্নচাপে ভালোই বৃষ্টি পেয়েছে দক্ষিণবঙ্গ। ২০২২-এর বর্ষাকালে বৃষ্টির ঘাটতিতে বাংলায় চাষবাসের যতটা ক্ষতি হয়েছিল বা হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল, তার অনেকটাই গত সপ্তাহ এবং চলতি সপ্তাহের বৃষ্টিতে সামাল দেওয়া গেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এবার দু’একদিন বৃষ্টি থেমে রোদ্দুর দেখা দিলেও চলতি সপ্তাহেই ফের বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। 

হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী ২৪ ঘন্টায় উত্তর বঙ্গোপসাগরের ওপর একটা নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এবারেও নিম্নচাপের গতি ওড়িশার দিকেই থাকবে বলে বোঝা যাচ্ছে। তাহলেও আমাদের রাজ্যের দক্ষিণে এই নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলবর্তী জেলা অর্থাৎ পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি থাকছে। মূলত এই বৃষ্টিপাত অগাস্টের ১৪ তারিখ অর্থাৎ, চলতি সপ্তাহে রবিবার হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। 


আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১৩ তারিখ উপকূল সংলগ্ন এলাকাগুলিতে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে। তবে, ১৪ ও ১৫ তারিখে সেই হাওয়ার গতিবেগ বাড়ার সম্ভাবনা। মৌসম ভবনের রিপোর্ট জানাচ্ছে, ১৪ আর ১৫ তারিখে ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার। সমুদ্রের ওপর ও এই ঝোড়ো হাওয়ার বেগ প্রবল থাকার জন্য আগামী ১৫ তারিখ পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে, যেসব মৎস্যজীবী মাঝ সমুদ্রে আছেন, তাঁদের ফিরে আসার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। নদী উপকূলবর্তী এলাকায় বাঁধ ভেঙে যাওয়ার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দিঘা, মন্দারমণি, সাগরে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা, ফলে সমুদ্র সৈকতে বেরাতে যাওয়া পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হচ্ছে। 

উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে আবহাওয়া খুব একটা ভিন্ন নয়। আগামী ১৩ ও ১৪ তারিখে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার, এই ৩ জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের দ্বারা ধান ও পাট চাষের ক্ষয়ক্ষতি যথেষ্ট পূরণ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদ সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। 

নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত গোটা গ্রাম, নোনা জলে প্লাবিত বিঘের পর বিঘে চাষের জমি
দু’তিন দিনের মধ্যেই ফের বদলাবে আবহাওয়া, বৃষ্টি থামার লক্ষণ নেই দক্ষিণবঙ্গে? 
শহরের আকাশে দুর্যোগের কালো মেঘ, ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়

Share this article
click me!