বজ্রপাতে মৃত্যুর মূল কারণ অসচেতনতা - বাঁচতে কী কী করবেন, কী কী করবেন না

সোমবার বজ্রপাতে বাংলায় মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের

বিশ্বে সবথেকে বেশি বজ্রপাত হয় ব্রাজিল ভেনেজুয়েলায়

তবে সেখানে মৃত্যুর সংখ্য়া অনেক কম থাকে

বিশেষজ্ঞরা বলছেন এখানে মৃত্যু বেশি হয় অসচেতনতার জন্য

amartya lahiri | Published : Jun 7, 2021 6:48 PM IST / Updated: Jun 10 2021, 03:03 PM IST

সোমবার বজ্রপাতে দক্ষিণবঙ্গের ৩ জেলায় মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের - মুর্শিদাবাদ ও হুগলিতে ৯ জন করে, আর পশ্চিম মেদিনীপুরে আরও ২ জন। রবিবার আবার পূর্ব বর্ধমানে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছিল ৪ জনের। ক্রমান্বয়ে বজ্রপাত এবং বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। গত কয়েকদিনে প্রায় প্রতিদিনই বিকেলের দিকে চারপাশ অন্ধকার করে আকাশে জমছে মেঘ আর তারপরই বজ্রপাত-সহ ঝড়-বৃষ্টি। আলোচনা শুরু হয়েছে, আগের থেকে এখন বজ্রপাত হচ্ছে অনেক বেশি, তাই এত লোকের মৃত্যু হয়েছে।

তবে প্রকৃতিক বিপর্যয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বজ্রপাতের সংখ্য়া বাড়লেই মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বে, এমন ধারণা ঠিক নয়। কারণ, বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে দুই লাতিন আমেরিকান দেশ - ভেনেজুয়েলা এবং  ব্রাজিলে। কিন্তু, সেই দুই দেশের থেকে অনেক বেশি মানুষের মৃত্যু হয় ভারতবর্ষ, বাংলাদেশ-এর মতো  দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসলে বজ্রপাতে এই অঞ্চলে এত বেশি মৃত্যুর পিছনে সবথেকে বড় কারণ মানুষের অসচেতনতা। তারা বলছেন, বজ্রপাতের হাত থেকে রক্ষা পেতে ঘরে থাকার কোনও বিকল্প নেই। অথচ, এখানকার মানুষ জানেই না কোন সময় ঘরে থাকতে হবে, জানলেও তা মেনে চলার দিকে বিশেষ মন নেই তাদের। এদিনও যেমন মুর্শিদাবাদে বজ্রাঘাতে মৃতদের অনেকেই ওই দুর্যোগের মধ্যে আম কুড়াতে বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন।

তবে, মে-জুন মাসে, কখনও কখনও এপ্রিলেও বজ্রপাত হওয়ার আবহাওয়ার একেবারে স্বাভাবিক নিয়ম, এমনই জানাচ্ছেন আবহাওয়া ও জলবায়ু বিশারদরা। তারা বলছেন, এ হল প্রাক-বর্ষার বৃষ্টি। এই সময় দারুণ গরম থাকে, তাই ঘন ঘন বজ্রপাতও হয়। তবে কয়েকটি স্বাভাবিক নিয়ম, অর্থাৎ বজ্রপাতের সময় কী করবেন, আর কী করবেন না - তা যদি মেনে চলা যায়, তাহলে যতই বজ্রপাত হোক, প্রাণহানি হবে না।

বজ্রপাতের সময় কী করা উচিত

- ফোন, কম্পিউটার বা অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের থেকে দূরে থাকতে হবে

- বাথটাব বা কোনও জলাধার এবং ধাতব পদার্থ থেকে দূরে থাকতে হবে

- এড়িয়ে চলতে হবে কোনও বৈদ্যুতিক তারের বেড়াও

- পুকুর, নদী-নালা বা হ্রদে মাছ ধরা কিংবা নৌকা ভ্রমণের মতো বিষয়ও বজ্রপাতের সময় বন্ধ রাখতে হবে

- এক জায়গায় অনেক মানুষ জড়ো হয়ে থাকা ঠিক নয়, সকলকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে হবে


বজ্রপাতের সময় কী করা উচিত নয়

- কংক্রিটের ওপর শোওয়া বা কংক্রিটের দেওয়ালে হেলান দেওয়া যাবে না

- কোনও উঁচু স্থানে থাকা যাবে না

- মাটিতে শোওয়া কিংবা বড় গাছের নিচে দাঁড়ানো উচিত নয়

- ইস্পাত লোহা জাতীয় ধাতব পদার্থ ধরবেন না

Share this article
click me!