স্বাভাবিকভাবেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইস্যুতে কোণঠাসা তৃণমূল এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে। প্রশ্ন তুলেছে ঝাড়খন্ডে সরকার পতনের চেষ্টায় যিনি মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন সেই কংগ্রেস নেতা সিদ্ধার্থ মজুমদারের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশিতে কি সমস্যা ছিল।
ঝাড়খন্ডের কংগ্রেস বিধায়কদের টাকা উদ্ধারের ঘটনায় বিজেপি কি কিছু লুকোতে চাইছে, নাকি কাউকে ভয় পাচ্ছে, সরাসরি টুইট করে প্রশ্ন করল তৃণমূল কংগ্রেস। ভয় পেলে, কাকে ও কেন বিজেপি ভয় পাচ্ছে তা জানতে চেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার টুইট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে স্পষ্ট লেখা তল্লাশি করার পূর্ণাঙ্গ ও যথাযথ নথি থাকা সত্ত্বেও কেন সিআইডি টিমকে বাধা দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল।
উল্লেখ্য, আদালতের ওয়ারেন্ট থাকা সত্ত্বেও তল্লাশিতে বাধা পায় সিআইডি আধিকারিকদের টিম। ঝাড়খন্ডের কংগ্রেস বিধায়কদের গাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিআইডি। দিল্লিতে এই ঘটনায় অভিযুক্ত একজনের বাড়িতে তল্লাশি ও অভিযান চালাতে গিয়ে বাধা পেল সিআইডি। দিল্লি পুলিশের ডিসিপি (দক্ষিণ পশ্চিম) এই তল্লাশিতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। অথচ সিআইডির কাছে তল্লাশি অভিযান চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ মজুত ছিল। তা সত্ত্বেও কেন তাদের তল্লাশি চালাতে দেওয়া হল না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
স্বাভাবিকভাবেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইস্যুতে কোণঠাসা তৃণমূল এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে। প্রশ্ন তুলেছে ঝাড়খন্ডে সরকার পতনের চেষ্টায় যিনি মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন সেই কংগ্রেস নেতা সিদ্ধার্থ মজুমদারের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশিতে কি সমস্যা ছিল। কেন বাধা দেওয়া হল। বিজেপি কি কিছু লুকোতে চাইছে।
এদিকে, দুদিন আগেই হাওড়ার পাঁচলা থেকে রাশি রাশি টাকা সমেত গ্রেফতার হওয়া তিন কংগ্রেস বিধায়ককে সাসপেন্ড করেছে দল। মঙ্গলবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সিআইডির একটি দল লালবাজারের ঠিক উল্টোদিকে একটি বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে। বাড়িটির নাম বিকানের ভবন। এই অভিযানে সিআইডির হাতে এসেছে কয়েক লক্ষ টাকা। সিআইডির আইজি ১ প্রণব কুমারও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। বাড়িটি থেকে একাধিক নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টা নাগাদ বিকানের ভবনের তিনতলার একটি অফিসে তল্লাশি শুরু করে সিআইডির অফিসারেরা। তবে অফিসটির তালা বন্ধ থাকায় প্রথমে ভিতরে ঢুকতে পারেননি সিআইডির গোয়েন্দারা। প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষার পর চাবিওয়ালা ডেকে দরজার লক ভাঙা হয়। সিআইডি সূত্রে খবর, এই টাকা কংগ্রেসের বিধায়কদের হাতবদল হওয়ার আগে রাখা ছিল এই বিকানের ভবনেই। এমনকি ওই টাকা এই লালবাজারের বাড়িটিতেই হাতবদল হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান।