পুরসভার দুষিত জল পান করে মহিলার মৃত্যু? অভিযোগ উঠল নদিয়ার কৃষ্ণনগরে

স্থানীয়রা জানিয়েছেন ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন মৃত মহিলা সুধারানি দাস। তিনি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। পুরসভার সরবরাহ করা জল পান করতেন। কিন্তু অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।

Saborni Mitra | Published : Aug 13, 2022 9:44 AM IST

পুরসভার সবরাহ করা জল খেয়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল নদিয়ার কৃষ্ণনগর পুরসভায়। পুরসভা এলাকার ১৫ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কয়েক জন বাসিন্দা পুরসভার সরবরাহ করা দুষিত জল খেয়ে অসুস্থ হয়ে গেছে বলেও দাবি স্থানীয়দের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরসভার ওপর রীতিমত ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ। 

স্থানীয়রা জানিয়েছেন ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন মৃত মহিলা সুধারানি দাস। তিনি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। পুরসভার সরবরাহ করা জল পান করতেন। কিন্তু অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। ডেথ সার্টিফিকেটে দুষিত জলের কোনও উল্লেখ নেই। সাধারণ মৃত্যু হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়েছে সুধারানি দাসের মৃত্যুকে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দা ও এলাকার কাউন্সিলরের দাবি পুরসভার সরবরাহ করা দুষিত জল পান করেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মহিলা। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। 

স্থানীয় কাউন্সিলর জানিয়েছেন, পুরসভার সরবরাহ করা জল নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই অভিযোগ জানিয়ে আসছেন সাধারণ মানুষ। জল সরবরাহে বাধা যেমন রয়েছে, তেমনই দুষিত জল সরবরাহ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর। তিনি বলেন জলে আয়রন বেশি থাকে। ঘোলা জলও সরবরাহ করা হয়। ওই জাল পান করে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে তাঁর কাছে খবর রয়েছে। তিনি পুরসভা কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার বিষয়টি জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। পুরসভার জল সরবরাহ নিয়েও অভিযোগ করলেও এখনও পর্যন্ত তার সুরাহা হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তবে এই বিষয় এখনও পর্যন্ত পুরসভা কর্তৃপক্ষ মুখ খোলেনি। 

সম্প্রতি কৃষ্ণনগর পুরসভা গঙ্গার জল শোধন করে তা বাড়ি বাড়ি সরবরাহের প্রকল্প চালু করেছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ সেই জল সরবরাহের পরই পুরসভা এলাকার মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ ঘোলা জলও সরবরাহ করা হচ্ছে। যাইহোক এই অবস্থায় পুরসভা গঙ্গার জল শোধন করে তা সরবরাহ করার প্রকল্প স্থগিত রেখেছে। এখন থেকে পুরনো প্রথা অনুযায়ী মাটির তলা  থেকে জল তুলে তা  সরবরাহ করা হবে। গঙ্গার  জলের যে প্রকল্প রয়েছে তা আরও ভাল করে খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি জলের কোয়াটিলি টেস্ট করা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলেও পুরসভা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।  
 

Share this article
click me!