কেলেঙ্কারিকাণ্ড কলকাতায়। আইআইএম জোকায় একসঙ্গে ২৮ জন কোভিড পজিটিভ। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী , এই মুহূর্তে কলকাতায় কোভিডে আক্রান্ত ৩৩ জন। আর এরই মধ্য়ে আইআইএম জোকায় একসঙ্গে ২৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
কোভিডে ফের দৈনিক সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ল রাজ্যে। চলুন এবার দেখে নেওয়া যাক , কোথায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের কোভিড গ্রাফ।
জেলা ওয়েলফেয়ার অফিসার অশোক শতপথীর মতে কোটলা গুড়ার অন্বেষা নামের হস্টেল থেকে ৪৪জন ছাত্র করোনা আক্রান্ত হয়েছে। চৌঠা মে তাদের রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে করোনা পরীক্ষার ভয় এক মহিলা টেবিলের তলায় ঢুকে পড়েছেন। কিন্তু সেখানেও নিস্তার পাননি তিনি। টেবিলের তলায় শুয়ে পড়েছেন এক মহিলা। তারওপর বসে পড়ে এক পুরুষ তার হাত-পা চেপে ধরছে।
কোভিডে মৃত্যু শূন্য বাংলা। গত চব্বিশ ঘন্টায় স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন এবার ৩১ জন।
গুরুতর কোভিড রোগিদের আইকিউ ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। যার অর্থ সংক্রমণের কারণে মানুষের যে স্বাভাবিক জ্ঞানবুদ্ধি রয়েছে তা অনেকটাই কমে যেতে পারে।
সোমবার আদালত জানায়, কোনও ব্যক্তিকে টিকা নেওয়ার জন্য সরকার জোর করতে পারে না ঠিকই, কিন্তু সমগ্র জাতির স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে একাধিক বিধি আরোপ করতে পারে সরকার। তা মানতে নাগরিক বাধ্য।
দেশের রাজধানী দিল্লিতে গত কয়েকদিনে সংক্রমণ বাড়লেও বাংলায় ততটা উদ্বেগজনক পরিস্থিতি নয়। তবে গোটা এপ্রিল মৃত্যুহীন হলেও বাংলায় ফের কোভিডে বলি হয়েছে ১ জন।
এক সপ্তাহ ধরে দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজারের উপরেই রয়েছে। আর তার জেরেই করোনার চতুর্থ ঢেউ নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের সার্বিক করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন।
এবার অভিভাবকদের জন্য স্বস্তির খবর। কারণ ৬ থেকে ১২ বছর বয়সি বাচ্চাদের জন্য কোভ্যাক্সিন টিকাকে ছাড়পত্র দিল ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)।