মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে ৬ জনকে ধাক্কা মারেন পরিচালক ভিক্টো। এই ঘটনায় মুখ খুললেন টলিউডের তারকারা। তাঁদের মতে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো একটি গুরুতর অপরাধ।
ঠাকুরপুকুরের ঘটনা কারও অজানা নয়। গাড়ি দুর্ঘটনায় গ্রেফতান হন অভিযুক্ত পরিচালক সিদ্ধান্ত দাস ওরফে ভিক্টো। মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে ৬ জনকে ধাক্কা মারেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে ভাস্বর বলেন, ‘যা ঘটেছে সেটা অপরাধ। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো মানুষ মেরে ফেলা দণ্ডনীয় অপরাধ। এটা জানার পরও কী করে একই পথে পা বাড়ালেন পরিচালক ভিক্টো?’ তিনি বলেন, ‘যাদের এত অর্থ, এত প্রতিপত্তি, দামি গাড়িতে চড়ে ঘোরেন তাঁদের চালক রাখার সামর্থ্য নেই!’ তিনি আরও বলেন, ‘সকলে জানতেন তাঁরা নেশা করতে যাচ্ছেন। ভজন শুনতে নয়। তিনি হতবাক, ভোর পর্যন্ত নেশা করে বেসামাল হয়ে গাড়ি চালানোর সাহস হয় কী করে!’
তৃণা সাহা বলেন, কে কী করেছে তা নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না। শুধু এটুকু জানি, খুন করার মতোই মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো অপরাধ। আইন আমাদের সেটাই শিখিয়েছে।… আমাদের নানা ধরনের অনুষ্ঠানে যেতে হয়। অনেক সময়ই বাড়ি ফিরতে রাত হয়। বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে পার্টি করলে, প্রয়োজনে সঙ্গে গাড়ির চালক থাকে। তার পরেও প্রয়োজন হলে অ্যাপ ক্যাব পরিষেবা আছে। কিন্তু, খেয়াল রাখি এমন কিছু যাতে না করি, যাতে অন্যের কোনও রকম ক্ষতি হয়।
টলি তারকা সাহেব বলেন, একটা ঘটনা দিয়ে পুরো ইন্ডাস্ট্রিকে বিচার করা যায় না। প্রতি শনি-রবিবার কলকাতা পুলিশের জালে ধরা পড়ে বহু মদ্যপ চালক। তাঁরা বেশির ভাগই এই ইন্ডাস্ট্রির অংশ নয়। বরং আমি বহু অভিনেতা ও পরিচালককে চিনি যারা পার্টি করতে গেলে চালক নিয়ে যান। আর এখন অ্যাপের মাধ্যমেই চালক ডেকে নেওয়া যায়। আমি ২০১৭ সাল থেকে বলে আসছি, মদ্যপ হয়ে গাড়ি চালানো বড় অপরাধ। এর কোনও দ্বিমত হয় না। কিন্তু শুনতে খারাপ লাগলেও এখন এটাই কলকাতার সংস্কৃতি হয়ে গিয়েছে। মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোকেই এখন গৌরবান্বিত করা হয়। আবার অনেকে বলেন, খেয়ে আমি ভালো গাড়ি চালাই।


