সংক্ষিপ্ত

শুরুতে ‘হত্যাপুরী’ নিয়ে সামান্য সমস্যা হয়েছিল। প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ হঠাৎই হাত গুটিয়ে নিয়েছিল ছবি থেকে। নিন্দকদের দাবি, নতুন ‘টিম ফেলুদা’ নাকি সংস্থার পছন্দ হয়নি!

নতুন ফেলুদা, নতুন তাঁর দুই সহচর। এই নিয়েই শীতে সমুদ্রপাড়ে ধরা দেবেন মগজাস্ত্রের কারবারি। সৌজন্যে সন্দীপ রায়। ২৩ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে আসছে ‘হত্যাপুরী’। শুক্রবার পোস্টার মুক্তি দিয়ে এ কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করলেন সত্যজিৎ-পুত্র। সত্যজিৎ রায়ের লেখা ‘হত্যাপুরী’কেই বড় পর্দায় ফেরাচ্ছেন তিনি। এই প্রথম প্রদোষ চন্দ্র মিত্রের ভূমিকায় ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। খবর ছড়াতেই ইন্ডাস্ট্রিতে জোর জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। জটায়ু, তোপসে যথাক্রমে পরিচালক-অভিনেতা অভিজিৎ গুহ, আয়ুশ দাস। পোস্টারে এই প্রথম প্রকাশ্যে নতুন চরিত্রাভিনেতাদের ‘লুক’ও। নতুন ত্রিকোণমিতি দর্শকদের খুব হতাশ করবে না, এমনটাই বলছে পোস্টারে। পাজামা-পাঞ্জাবিতে তিনি ভীষণ ভাবেই ‘ফেলুদা’। ‘লালমোহনবাবু’ ওরফে ‘জটায়ু’ চরিত্রে অদ্ভুত মানিয়েছে অভিজিৎকে। এ ছাড়াও দেখা মিলবে শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, ভরত কল, সাহেব চট্টোপাধ্যায়, পরান বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

অতিমারি কাটিয়ে ছবি ফ্লোরে গিয়েছে জুন মাসে। প্রথমে কলকাতার অংশের শ্যুট সেরে নিয়েছিলেন পরিচালক। সেই মতো, দিল্লি রোডের একটি ধাবায় ক্যামেরার মুখোমুখি ইন্দ্রনীল, আয়ুশ, অভিজিৎ এবং ভরত। খবর, প্রথম দিনেই টানা ১৪ ঘণ্টা শ্যুট সেরেছিলেন পরিচালক। প্রথম দিনের শ্যুটে অভিনেতাদের সাজপোশাক কেমন ছিল? ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, ফেলুদার পরনে ছিল শার্ট-ট্রাউজার্স। তোপসে ঝকঝকে টি শার্ট-প্যান্টে। লালমোহনবাবু যথারীতি ধুতি-পাঞ্জাবিতেই কেতাদুরস্ত। ভরত সেজেছিলেন ধূসর রঙের সাফারি স্যুটে।

 

 

শুরুতে ‘হত্যাপুরী’ নিয়ে সামান্য সমস্যা হয়েছিল। প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ হঠাৎই হাত গুটিয়ে নিয়েছিল ছবি থেকে। নিন্দকদের দাবি, নতুন ‘টিম ফেলুদা’ নাকি সংস্থার পছন্দ হয়নি! পরে সেই জায়গায় আসে শ্যাডো ফিল্মস এবং ফ্লোরিডার ঘোষাল মিডিয়া অ্যান্ড এন্টারটেনমেন্ট। যৌথ ভাবে তারা ছবিটি প্রযোজনার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতেই ঝরঝরে মেজাজ সন্দীপের। সূত্রের খবর, প্রথম দিন ফ্রেমে ‘টিম ফেলুদা’কে ধরতেই নাকি শ্যুটিং স্পটে গুঞ্জন, নতুন অভিনেতাদের দিব্যি মানিয়ে গিয়েছে চরিত্রে।

যদিও ইন্দ্রনীল কতটা ফেলুদা চরিত্রে মানাবেন তাই নিয়ে বাঙালি দর্শকের সন্দেহ ছিল। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় নেই। বয়সের দিক থেকে সব্যসাচী চক্রবর্তীও আর ‘ফেলুদা’র উপযোগী নেই। আবীর চট্টোপাধ্যায় ‘ব্যোমকেশ’ আর ‘সোনাদা’য় আটকে। সেই সময় অনির্বাণ ভট্টাচার্যর নাম বেশি শোনা যাচ্ছিল। অনেকে টোটা রায়চৌধুরীকেও আশা করেছিলেন। কারণ, ইতিমধ্যেই সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ওয়েব সিরিজ ‘ফেলুদা’য় তিনি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত সবাইকে টপকে শূন্যস্থান পূরণ করেছেন বড় পর্দার ‘কিরীটি রায়’ ইন্দ্রনীল।

আরও পড়ুন:

বুম্বাদা, দেব বছরে একটা করে বাণিজ্যিক ছবি করো, নইলে বাংলা ছবি বাঁচবে না! অনুরোধে টোটা

EXCLUSIVE: ভোর রাতে সুস্মিতাকে নিয়ে নিউ মার্কেটে জিৎ! চুপিসারে প্রেম করলেন?

আন্তর্জাতিক গোয়া চলচ্চিত্র উৎসব সত্যজিৎ-ময়! সেরা তিন পোস্টার দিয়ে স্যুভেনির