সংক্ষিপ্ত

  • এল ক্লাসিকের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন
  • বার্সা-রিয়াল ম্যাচে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
  • তিন হাজার নিরপাত্তারক্ষী নিয়োগ করা হয়েছে 
  • ১৮ তারিখ মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ

১৮ তারিখ স্পেন ফুটবলের এল ক্লাসিকো। কিন্তু বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের লড়াইতে ফুটবলের হিসেব নিকেশের বাইরে ম্যাচ নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ম্যাচের নিরাপত্তা নিয়ে। কাতালুনিয়া আন্দোলনকারীরা ম্যাচের দিন ক্যাম্প নৌ স্টেডিয়ামের বাইরে প্রবল বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা করেছে। চলতি বছরের অক্টোবরের ২৬ তারিখ মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল দুই দলের। কিন্তু কাতালুনিয়ার আন্দোলনের জেড়ে সেই ম্যাচ তখন বাতিল করা হয়েছিল। ডিসেম্বরের ১৮ তারিখ এই ম্যাচ রিসিডিউ করেছে লা লিগা কতৃপক্ষ। কিন্তু আবার সেই ম্যাচ নিয়ে উঠেগেছে নিরাপত্তার প্রশ্ন। কারণ স্বাধীনতার দাবিতে এল ক্লাসিকোর মত বড় মঞ্চেই বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা করেছে আন্দোলনকারীরা। 

আরও পড়ুন - সুপ্রিম রায়ের অপেক্ষায় বোর্ড, আরও একমাস দায়িত্বে থাকছেন এমএসকে প্রসাদ

আগে থেকেই এই ম্যাচ নিয়ে তাই কড়া নিরাপত্তার আয়োজন করা হয়েছে। পুলিশ ও বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করা হয়েছে ম্যাচের জন্য। যাদের মধ্যে থাকছেন,কাতালুনিয়া আঞ্চলির পুলিশর এক হাজার কর্মী। সঙ্গে দুই হাজার বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী। কিন্তু তারা কী সামলাতে পারবেন আন্দোলনকারীদের। স্বাধীন কাতালুনিয়ার দাবিতে আন্দোলন চালানো সংগঠন ডেমোক্রাটিক সুনামি ক্যাম্প নৌয়ের বাইরে চারটি জায়াগ থেকে আন্দোলন করার পরিকল্পনা করেছে। এমনকি গোটা বিশ্বকেও তারা আমন্ত্রন জানিয়েছে সেদিন বার্সেলোনায় আসার জন্য। খেলা শুরুর চার ঘন্টা আগেই সেখানে উপস্থিত হবেন আন্দোলনকারীরা। 

আরও পড়ুন - নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিক্ষোভের জের, রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ গুয়াহাটিতে খেলতে চায় না অসম

গোটা পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও চাপে বার্সেলোনা। কারণ মাঠের বাইরের দায়িত্ব পুলিশ প্রাসাশনের হলেও মাঠের ভেতরে কোনও রকম অপ্রিতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে তার দয়া নিতে হবে মেসিদের ক্লাবকে। কারণ মাঠে যারা খেলা দেখতে আসবেন তাদের মধ্যেও যে অনেক অন্দোলনকারী মিশা থাকবে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। মাঠে কাতালুনিয়ার লাল হলুদ পতাকা থাকবেই। এমনকি ইংরেজি ভাষাতে লেখা থাকবে বিভিন্ন পোস্টার ও ব্যানার, যাতে গোটা বিশ্বের কাছে স্বাধীনতার বার্তা তুলে ধরা যায়। পোস্টার ও ব্যানারের একটাই লাইন ‘কাতালুনিয়া স্পেন নয়।’ এমন পরিস্থিতিতে মাঠের মধ্যে কোনও অশান্তি হলে বড় অঙ্কের জরিমান যেমন দিতে হবে বার্সেলোনাকে তেমনই থাকবে নির্বাসনের খাঁড়াও। 

আরও পড়ুন - বিশ্বকাপ মেসির যোগ্যতার মাপকাঠি নয়, কলকাতায় এসে বললেন ক্রেসপো